
গোপালপুর সংবাদদাতা ॥
টাঙ্গাইলের গোপালপুরে প্রতিপক্ষের হামলায় হত্যা ও চাঁদাবাজিসহ এক ডজন মামলার আসামি জাহাঙ্গীর মন্ডল (৪০) নিহত হয়েছেন। তিনি চাকমা জাহাঙ্গীর নামে পরিচিত ছিলেন। বুধবার (২ জুলাই) ভোরে উপজেলার নলিন বাজারে ফেরার পথে শাখারিয়া স্লুইস গেট এলাকায় প্রতিপক্ষের হামলায় তিনি নিহত হন। মাদক, বালু ব্যবসা এবং চাঁদাবাজির টাকা ভাগবাটোয়ারার দ্বন্দ্বে তিনি খুন হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নিহত চাকমা জাহাঙ্গীর গোপালপুর উপজেলার হেমনগর ইউনিয়নের মধ্য শাখারিয়া গ্রামের নাজিম উদ্দীনের ছেলে। তার বিরুদ্ধে গোপালপুর, ভূঞাপুর ও মির্জাপুর থানায় মাদক, চাঁদাবাজি, নারী নির্যাতন ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে অন্তত এক ডজন মামলা রয়েছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানাগেছে, মঙ্গলবার (১ জুলাই) গভীর রাতে চাকমা জাহাঙ্গীর অজ্ঞাত স্থান থেকে ঝাওয়াইল ইউনিয়নের সোনামুই বাজারে আসেন। সেখান থেকে নলিন বাজারে ফেরার পথে শাখারিয়া স্লুইস গেট এলাকায় তার ওপর দুর্বৃত্তরা হামলা চালায়। এ সময় দুর্বৃত্তরা তাকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে ফেলে রাখে। স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। অবস্থা সংকটাপন্ন হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক জাহাঙ্গীরকে মৃত ঘোষণা করেন।
হেমনগর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ উমর আলী জানান, জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে এক ডজন মামলা রয়েছে। তাছাড়া যমুনার ঘাটে অবৈধ বালু ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ, মাদক ব্যবসা, ছিনতাই, সড়ক পথে ডাকাতি, নারী নির্যাতন ও চাঁদাবাজির সংঘবদ্ধ একটি গ্যাং চালাতো চাকমা জাহাঙ্গীর। এদের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য টাঙ্গাইল ও জামালপুরের যমুনা তীরের জনপদ অশান্ত হয়ে উঠেছিল।
এ বিষয়ে গোপালপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম মুক্তাদির আশরাফ জানান, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সন্ত্রাসী চাকমা জাহাঙ্গীর প্রতিপক্ষের হাতে খুন হন। তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।