
স্টাফ রিপোর্টার ॥
টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই ইউনিয়নের উত্তর রাজাবাড়িতে (মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ) যৌথ মালিকানায় অবৈধ দখল ও পার্টনারকে বিল্ডিংয়ে থাকতে দিবে না বলে হুমকি প্রদান। ন্যায় বিচারের আশায় টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে মঙ্গবার (৮ জুলাই) সংবাদ সম্মেলন করছেন ভূক্তভোগী প্রবাসী জুয়েলের স্ত্রী শারমিন। অবৈধভাবে বিল্ডিং দখলের পাশাপাশি রয়েছে কোটি টাকা আত্নসাতের অভিযোগ।
রেমিটেন্স যোদ্ধা প্রবাসী জুয়েল মিয়ার স্ত্রী শারমিন আক্তার লিখিত বক্তব্যে জানান যে, একই গ্রামের অধিবাসী নিকট আত্বীয় গাজীপুর জেলার জয়দেবপুর থানার এসআই আব্দুল আলিম ও তার স্ত্রী শাহনাছ আক্তারের সাথে যৌথভাবে ৬ শতাংশ জমি ক্রয় করে আমার স্বামী যৌথভাবে ৪ তলা ভবন নির্মাণ শুরু করে। ভবন নির্মান বাবদ মোট ব্যয় হয় এক কোটি দুই লক্ষ টাকা। যাহা দুইপক্ষ সমহারে বহন করি। আমার স্বামী দুই কিস্তিতে ১৪ নভেম্বর ২০২৪ তারিখে জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে অঙ্গীকার নামায় একান্ন লক্ষ টাকা নির্মান ব্যয় বাবদ আসামীদের প্রদান করে। তবে ১৭ লক্ষ টাকা বাকি থাকায় আমার ১ম, ২য় ও ৩য় তলার ফ্লাটের ভাড়া আসামীগণ আদায় করে নেয়। তিনটি ফ্ল্যাটের ভাড়া মাসিক একুশ হাজার করে চার বছরে ১০ লক্ষ ৮ হাজার টাকা আসামী আব্দুল আলিম আদায় করে। কথা ছিল বকেয়া ১৭ লক্ষ টাকা পরিশোধ করার সময় ভাড়া থেকে আদায়কৃত টাকা আসামীগণ ফেরত দিবে।
কিন্তু এক মাস পর ভাড়ার টাকার কথা বললে আসামীগণ ভাড়া টাকা দিতে অস্বীকার করে এবং আমাকে ও আমার লোকজনকে মারতে আসে। আসামীগণ ভাড়ার ১০ লক্ষ ৮ হাজার ও ভবন নির্মাানের ২য় কিস্তিতে দেয় ১৭ লক্ষ টাকা এভাবে মোট ২৭ লক্ষ ৮ হাজার টাকার কথা অস্বীকার করে। উল্টো আমার নিকট অসৎ ভাবে টাকা দাবি করে এবং আমাকে বিল্ডিয়ে থাকতে দিবে না বলে প্রতিনিয়ত হুমকি দিচ্ছে এবং আমার ভাড়াটিয়াদের সাথে সবসময় অশালীন আচরণ করে যাহাতে ভাড়াটিয়ারা বাড়ি ছেড়ে চলে আয়। ৩০ জুন ও ১ জুলাই তারিখে আমার ফ্ল্যাটে ঢুকে পানির কল ভাংচুর করে এবং পানির মটরের লাইন জোর পূর্বক বন্ধ করে দেয়।
ইতিপূর্বে অত্যাচারিত হয়ে ২০২৫ সালের ১০ এপ্রিল আসামীদের বিরুদ্ধে মির্জাপুর থানায় মামলা করলেও আসামী আব্দুল আলিম পুলিশ হওয়ায় স্থানীয় থানা পুলিশ কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেনি। মির্জাপুর থানা আমলী আদালতে সি আর মোকদ্দমা দায়ের করিয়াছি তার পর থেকে আসামীগণ আমাকে হত্যাসহ মামলা তুলে নেয়ার হুমকি দিচ্ছে এবং আমার স্বামীর বিল্ডিং দখলের পায়তারা করছে।
সংবাদ সম্মেলনে প্রবাসী জুয়েল মিয়ার স্ত্রীর পাশে উপস্থিত ছিলেন মিনহাজ উদ্দিন, চায়না বেগম ও আকলিমা আক্তার।