
স্টাফ রিপোর্টার, মির্জাপুর ॥
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ভারি বর্ষণে ধরে যাওয়া জনগুরুত্বপূর্ণ তক্তারচালা ভায়া পাথরঘাটা রাস্তার বরদাম অংশের ভেঙ্গে যাওয়া অংশ ইউএনও’র নির্দেশে দ্রুত সময়ে সংস্কার করে যানচলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। শনিবার (১২ জুলাই) দিনভর ভেঙে যাওয়া রাস্তায় মাটি ভরাটের পর খোয়া ফেলে যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। এর আগে বুধবার (৯ জুলাই) রাতে যানবাহন চলাচল বন্ধ হওয়ার খবর পেয়ে ইউএনও এ.বি.এম আরিফুল ইসলাম রাস্তাটি পরিদর্শন করেন।
পরে সড়কটি জনগুরুত্ব বিবেচনা কর তিনি দ্রুত সময়ে রাস্তাটি সংস্কারের জন্য মির্জাপুর উপজেলা প্রকৌশলী মনিরুল সাজ রিজনকে নির্দেশ দেন। ইউএনও’র নির্দেশে দুই দিনের মাথায় রাস্তাটি সংস্কার করে যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়।
জানা গেছে, গত কয়েক দিনের ভারি বর্ষণে উপজেলা সদরের সঙ্গে উত্তরাঞ্চলের চার ইউনিয়নের কমপক্ষে ২০ গ্রামের শত শত মানুষের চলাচলের তক্তারচালা ও পাথরঘাটা সড়কের বরদাম অংশ ভেঙে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়। এতে ওই সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে জনদুর্ভোগ দেখা দেয়। খবরটি ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় চেয়ারম্যান আলী হোসেন রনির মাধ্যমে ইউএনও এ.বি.এম আরিফুল ইসলাম জানতে পারেন। জনদুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে তিনি দ্রুতই রাস্তাটি পরিদর্শন করে সংস্কারের নির্দেশ দেন। এ সময় উপজেলা প্রকৌশলী মনিজরুল সাজ রিজন, লতিফপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলী হোসেন রনি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ইউএনও নির্দেশে দুই দিনের মাথায় শনিবার (১২ জুলাই) ক্ষতিগ্রস্থ সড়কের ভেঙে যাওয়া গর্তে মাটি ভরাট কাজ সম্পন্ন করা হয়। পরে খোয়া ফেলে যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়।
মির্জাপুর উপজেলা প্রকৌশলী মনিরুল সাজ রিজন জানান, ইউএনও স্যারের নির্দেশে জনগুরুত্ব বিবেচনা করে দ্রুত সময়ে সড়কের ক্ষতিগ্রস্থ অংশ মেরামত করে যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মক্ত করে দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এ.বি.এম আরিফুল ইসলাম বলেন, গত কয়েক দিনের ভারি বর্ষণে বুধবার (৯ জুলাই) রাস্তাটি ভেঙে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়। ফলে সড়কটি দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। খবর পাওয়ার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জনগুরুত্ব বিবেচনা করে দ্রুত সময়ে মেরামতের নির্দেশ দেয়া হয়। উপজেলা প্রকৌশলী দুই দিনের মাথায় সড়কটি মেরামত কাজ শেষ করেন। বর্তমানে ওই সড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।