স্টাফ রিপোর্টার, মির্জাপুর ॥
টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার তিন ইউনিয়নবাসীর বহু প্রতিক্ষিত দাবী কুমুদিনী হাসপাতাল খেয়াঘাটে সেতু নির্মাণের বাঁধা কেটে গেল। সোমবার (১৪ জুলাই) সকালে কুমুদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট অব বেঙ্গল বিডি লি: এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাজীব প্রসাদ সাহার সাথে এলাকাবাসীর বৈঠকের মাধ্যমে এ বাঁধা দূর হয় বলে জানা গেছে।
কুমুদিনী খেয়াঘাটে সেতু নির্মাণের বিষয়ে রাজীব প্রসাদ সাহা এলাকাবাসীর সাথে একমত হওয়ায় খেয়াঘাটের দক্ষিণপাড় শত শত লোক মিষ্টি বিতরণ ও বাজি ফুটিয়ে উল্লাস করেন।
সোমবার (১৪ জুলাই) সকালে রণদা প্রসাদ সাহার মির্জাপুর গ্রামের বাড়িতে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট অব বেঙ্গল বিডি লি: এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাজীব প্রসাদ সাহা ছাড়াও কুমুদিনী ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্ট্রের জিএম রনজিৎ সাহা ও কুমুদিনী ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্ট্রের সিভিল কনস্ট্রাকশনের জিএম স্বপন পোদ্দার, কুমুদিনী হাসপাতালের ডিজিএম (অপারেশন) অনিমেষ ভৌমিক, এলাকাবাসীর পক্ষে মির্জাপুর গ্রামের বাসিন্দা খুলনা ডেন্টাল কলেজের প্রিন্সিপাল অনুপম পোদ্দার, সরকারি কুমুদিনী কলেজের সহযোগী অধ্যাপক বিশ্বজিৎ সাহা, চিত্রশিল্পী হুমায়ুন কবীর, ডা. বিপ্লব কুমার সাহা, ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার আব্দুল সাত্তার, ডাচ বাংলা ব্যাংক বোর্ডবাজার শাখার ব্যবস্থাপক দীপঙ্কর সাহা, সাবেক পৌর কাউন্সিলর তাপস সাহা, ব্যবসায়ী পিন্টু সাহাসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে রাজীব প্রসাদ সাহা এলাকাবাসীর কাছ থেকে এই খেয়াঘাটের দুর্ভোগ ও সেতু নির্মাণের দাবী সম্পর্কে জানেন এবং এখানে যাতে পারাপারের জন্য একটি নিরাপদ পায়ে হাঁটার একটি সেতু নির্মিত হয় এ বিষয়ে তিনি এলাকাবাসীর সাথে একমত পোষণ করেন। এতে কুমুদিনী কর্তৃপক্ষের আপত্তি নেই আশ্বস্ত করে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি।
এদিকে কুমুদিনী খেয়াঘাটে সেতু নির্মাণের বিষয়ে কুমুদিনী কর্তৃপক্ষ এলাকাবাসীর সাথে একমত হওয়ায় খেয়াঘাটের দক্ষিণপাড় শত শত লোক মিষ্টি বিতরণ ও বাজি ফুটিয়ে উল্লাস করেন।
ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার আব্দুল সাত্তার বলেন, এলজিইডি কর্তৃপক্ষের ধারণা ছিলো খেয়াঘাটটিতে সেতু নির্মাণে কুমুদিনী কর্তৃপক্ষের আপত্তি থাকতে পারে। কিন্তু না, কুমুদিনী কর্তৃপক্ষ এলাকাবাসীর দাবীর সাথে একমত পোষণ করেছেন। এখন এই ঘাটে সেতু নির্মাণের ক্ষেত্রে কোন বাধা রইল না।