স্টাফ রিপোর্টার ॥
টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে দুটি ঘর ভাংচুর ও শুটকি মাছসহ স্বণালংকার ও নগদ অর্থ লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় সোমবার (১৪ জুলাই) রাতে ধনবাড়ী থানায় মামলা দায়ের করেছেন ভোক্তভোগী পরিবার। ১১ জনকে আসামী করে সোমবার (১৪ জুলাই) থানায় মামলা দায়ের করেছি। কিন্তু কোন আসামীকে পুলিশ এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি।
মামলার বিবরণ থেকে ও বাদী কুরবান আলী জানায়, প্রতিবেশী মৃত তমেজ আলীর ছেলে শফিকুল ইসলাম ও তার ছেলে মিজানুর রহমান, আমিনুর রহমান এবং ওমেদ আলীসহ তার ছেলে রাসেল মিয়া গংরা জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী নিয়ে হামলা চালিয়ে দুটি বাড়ী ঘর ভাংচুর করে। ঘরের টিন ও মাটি খুঁড়ে ঘরের খুঁটি তুলে ফেলে ভাংচুর করে ছিন্নভিন্ন করে ফেলে। ঘরে থাকা আমাদের ভ্রাম্যমান দোকানের ৫০ হাজার টাকার শুকটি মাছ ও ৬০ হাজার টাকার স্বর্ণালংকারসহ নগদ ৫০ হাজার টাকা এবং পাশের ঘর থেকে ২ লক্ষ ত্রিশ হাজার টাকা মূল্যের স্বর্ণের গহনা লুটে নেয় সন্ত্রাসী দল।
এ সময় বাঁধা দিতে গেলে সন্ত্রাসীরা বাঁশের লাটি ও কাঠ দিয়ে মারতে আসে। সেই সাথে তারা আমাদের কে কোথাও কোন অভিযোগ না করার জন্য প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে যায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে আসার পরে থেকেই শফিকুল গংরা বাড়ী ছেড়ে পালিয়ে যায়। তারপরেও আমরা চরম নীরাপত্তাহীনতায় ভূগছি। আমরা এখন এই বৃষ্টির দিনে খোলা আকাশের নিচে কীভাবে পরিবার পরিজন নিয়ে রাত কাটাবো।
স্থানীয় নূরুল ইসলাম, আ: বারেক, রফিকুল ইসলাম, এছাহাক আলী, আব্বাছ আলী ছানোয়ারা বেগম ও রওশন আরা, ছালেহা বেগম, মালেকা, শান্তিক বেগম ও নূরজাহান বেগমসহ এলাকাবাসীরা জানান, দিনে দুপুরে সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে ত্রাসের সৃষ্টি করে হামলা চালিয়ে ঘর-বাড়ীর ভাংচুর করে লন্ডভন্ড করেছে।
উক্ত ঘটনা নিশ্চিত করে বীরতারা ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড জামায়াতে ইসলামীর সভাপতি নূর মোহাম্মদ জানান, জমি সংক্রান্ত বিষয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে স্থানীয় প্রভাবশালী কিছু ব্যক্তি নিজেরা আর্থিক স্বার্থের জন্য এ ঘটনাটি ঘটিয়ে এলাকায় অশান্তি সৃষ্টি করেছে। যা মোটেই কাম্য নয়। ঘরবাড়ী ভংচুরের ঘটনায় দ্রুত অপরাধীদের গ্রেপ্তারের দাবী জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে বীরতারা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আমির হোসেন তারা জানান, বিষয়টি আমি জেনেছি তাদের পারিবারিক জমি বিষয়ে বিরোধ, মানুষ দিনে কাজ করে রাতে একটু শান্তির জন্য নিদ্রা যায়। পাখির বাসাও মানুষ ভাংঙ্গে না, তবে ঘর-বাড়ী ভাংচুর করা ঠিক হয়নি। এ ঘটনায় দোষীদের বিচার হওয়া দরকার।
অভিযুক্ত বিবাদী শফিকুল গংদের কাছে এ বিষয়ে জানতে তাদেরকে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ধনবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম শহিদুল্লাহ জানান, শুটকি মাছ ব্যবসায়ীদের বাড়ী ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনায় কুরবান আলী বাদী হয়ে সোমবার (১৪ জুলাই) রাতে ১১ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন। দ্রুত আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।