স্টাফ রিপোর্টার ॥
টাঙ্গাইলের নাগরপুরে স্ত্রীর স্বীকৃতি না পেয়ে এক অসহায় নারী থানা ও পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগ দিয়েছেন। রুবেল সরোয়ার নামের এক প্রতারকের নাম উল্লেখ করে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, মনিরা আক্তার নামের এক নারীর সাথে ১৩ বছর পূর্বে সিরাজগঞ্জ জেলার চৌহালী উপজেলার বাগুটিয়া গ্রামের মৃত গফুর মোল্লার ছেলে ইসমাইল হোসেনের সাথে বিবাহ হয়। বিবাহের পর থেকেই পারিবারিক মনমালিন্য থেকে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকতো। কয়েক বছর পর কণ্যা সন্তান হওয়ায় সংসারে আরো অশান্তি নেমে আসে। সম্পর্কের অবনতি হলে রাগ করে ওই নারী কন্যাসহ তার বাবার বাড়ি চলে আসে।
পরবর্তীতে তার স্বামী খোঁজ খবর না নেওয়ায় ওই নারী নাগরপুর বাজারে একটি মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় কাপড়ের ব্যবসা শুরু করেন। বিবাদী রুবেল সরোয়ারও ওই মার্কেটের নিচতলায় এক্সপোর্ট কাপড়ের ব্যবসা করে। একই মার্কেট হওয়ার সুবাদে রুবেল ২য় তলায় গিয়ে ওই নারীর আড্ডা দিত। পর্যায়ক্রমে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ওই নারীর কষ্টের কথা শুনে রুবেল তাকে বিবাহ করবে বলে আশান্বিত করে এবং তার স্বামীকে তালাক দিতে বলে।
পরবর্তীতে তালাক দিলে রুবেল ওই নারীকে বিবাহ করে স্থানীয় মাতাব্বর ও মৌলভীর মাধ্যমে মৌখিক ১০ লক্ষ টাকা দেনমোহর ধার্য্য করে। বিয়ের পর ওই নারীকে ঢাকার উত্তরায় নিয়ে রুবেল দাম্পত্য জীবন শুরু করে। এ সময় ওই নারী তার ব্যবসার নগদ ৫ লক্ষ টাকা রুবেলের হাতে দেয়। কিছুদিন পর কাবিননামার কথা বললে তালবাহানা করে সময় ক্ষেপণ করে টাঙ্গাইলের নাগরপুর চলে আসে।
পরে ওই নারী খোঁজ নিয়ে রুবেলের বাসায় গিয়ে দেখেন রুবেল বিবাহিত এবং তারও একটি সন্তান আছে। ওই নারী রুবেলের স্ত্রী দাবি করলে, তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন বেধরক মারধর করে। শেষে সাদা একটি কাগজে জোরপূর্বক ওই নারীর স্বাক্ষর রাখেন এবং সাথে থাকা ২ টি মোবাইল, নগদ ২৩ হাজার টাকা ও ১১ আনা ওজনের একটি সোনার চেইন লুট করে রুবেলের পরিবারের সদস্যরা। ভুক্তভোগী ওই অসহায় নারী প্রশাসনের কাছে সঠিক বিচার দাবি করেন।