
ফরমান শেখ, ভূঞাপুর ॥
টাঙ্গাইলের কালিহাতীর এলেঙ্গায় রাজকীয় দ্বিতল খাট বানিয়ে মানুষের কৌতূহল সৃষ্টি করেছেন হারুন অর-রশিদ নামে এক ফার্নিচার ব্যবসায়ী। তার এই খাটটি এক নজর দেখতে প্রতিদিনই আশপাশসহ দূর-দূরান্ত থেকে লোকজন ছুটে আসছেন। খাটটি ৫ লাখ টাকা দাম চাইলেও ইতোমধ্যে আড়াই লাখ টাকা দাম উঠেছে।
তবে, সাড়ে ৪ লাখ টাকায় মানুষের নজর কেড়ে নেওয়া খাটি বিক্রি করার ইচ্ছে পোষণ করেছেন ওই ফার্নিচার ব্যবসায়ী।
জানা যায়, এলেঙ্গা পৌর শহরের মেসার্স হারুন ‘স’ মিল অ্যান্ড ফার্নিচার হাউজের স্বত্বাধিকারী হারুন অর-রশিদ দীর্ঘ ৬ মাসের পরিশ্রমে সুদক্ষ কারিগর দিয়ে এই দ্বিতল খাটটি তৈরি করেছেন। এতে ব্যবহার করা হয়েছে সেগুন ও আকাশমনি কাঠ। চার ধরনের নকশায় নান্দনিক রুপে দেওয়া হয়েছে এটিতে। এছাড়াও খাটটির সিঁড়ির ডিজাইন করা হয়েছে বক্স আকারে। প্রয়োজনীয় কাপড়চোপড়ও রাখা যাবে এই সিঁড়ির বক্সে।
রাজকীয় খাট তৈরির কারিগররা বলেন, তারা দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে খাটটি নিপুণভাবে তৈরি করেছেন তারা। আকর্ষনীয় ডিজাইন, নকশা ও বার্নিশে নান্দনিকতা ফুটিয়ে তুলেছেন তারা। এর আগে কখনও এত বড় খাটের কাজ তারা করেনি। এবারই প্রথম দ্বিতল বিশিষ্ট খাট তৈরি করতে পেরে খুশি তারা।
এলেঙ্গা মেসার্স হারুন ‘স’ মিল অ্যান্ড ফার্নিচার হাউজের স্বত্বাধিকারী হারুন অর-রশিদ ঢাকা মেইলকে বলেন, তিনি কয়েক বছর আগে এমন ডিজাইনে একটি সিঙ্গেল খাট তৈরি করেছিলেন। তখন বেশ ভালো দামেই বিক্রি করেন সেটি। সে থেকে তার মনে ইচ্ছে জাগে দ্বিতীয় তলা বিশিষ্ট একটি খাট তৈরি করার। সে থেকেই প্রায় ৬/৭ মাসে পাবনার এক কারিগর দিয়ে তিনি এই রাজকীয় খাটটি তৈরি করছেন। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজন ব্যক্তি খাটটির দাম আড়াই লাখ টাকা করেছেন।
হারুন অর-রশিদ আরও বলেন, খাটটির দাম ৫ লাখ টাকা চাইলেও আলোচনা সাপেক্ষে কমানোর সুযোগ রয়েছে এবং যে ব্যক্তি তার খাটটি কিনে নেবেন তাকে আরও একটি ছোট উপহার দেওয়া হবে।