
স্টাফ রিপোর্টার ॥
৮ম শ্রেণির ছাত্র তানভীর আহমেদ ছিল ক্লাসের ফার্স্ট বয়। জীবনে কোন ক্লাসেই দ্বিতীয় হয়নি তানভীর। ভালবাসত ড্রয়িং করতে। মাঝে মাঝে বাবাকে ডেকে তার ছবি এঁকে দিত। একই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৩য় শ্রেণি পড়ুয়া ছোট ভাই তাশফীককে লেখাপড়ায় সহযোগিতা করত। কিন্তু রাজধানী ঢাকার উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজের ক্যাম্পাসে প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে অকালেই ঝরে গেল তানভীরের প্রাণ।
নিহত তানভীরের বাড়ি টাঙ্গাইল মির্জাপুরের উয়ার্শী ইউনিয়নের নগরভাতগ্রাম নয়াপাড়া গ্রামে। মঙ্গলবার (২২ জুলাই) সকালে জানাজা শেষে এলাকায় দাফন সম্পন্ন হয়েছে তার।
এদিন সকাল থেকেই ছেলেকে নিয়ে প্রলাপ করছিলেন তানভীরের মা। স্মরণ করছিলেন স্কুল জীবনে তানভীরের অর্জিত সকল পুরস্কারের কথা। এ ঘটনায় স্তব্ধ হয়ে গেছে তার ছোট ভাই তাশফীক। কোন কথাই বের হচ্ছে না তার মুখ দিয়ে। সোমবার (২১ জুলাই) সাড়ে ১২টায় স্কুল ছুটির পর বাবার সাথে চলে যায় তাশফীক। কিন্তু কোচিং ক্লাস করার জন্য স্কুলেই থেকে যায় তানভীর। এরপর দুপুর ১টার দিকে ঘটে এই দুর্ঘটনা।
তানভীরের জানাজায় অংশ নেন মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবিএম আরিফুল ইসলাম। এছাড়া উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির ইয়াহহিয়াহ খান মারুফ, জামায়াতের এমপি প্রার্থী আব্দুল্লাহ তালুকদার, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক ডিএম শফিকুল ইসলাম ফরিদ, গণ অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেনসহ এলাকার সহস্রাধিক মানুষ।