
নুর আলম, গোপালপুর ॥
টাঙ্গাইলের গোপালপুরে গরু চুরির অভিযোগে কসাইসহ ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার (২৩ জুলাই) সকালে হেমনগর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ এক বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে তাদের আটক করেন। এ সময় চুরি যাওয়া ৩টি গরু উদ্ধার করেন। আটককৃতরা হলেন- নলীন গ্রামের লিটন কসাইয়ের ছেলে রাসেল কসাই, ভুঞাপুর উপজেলার জোতকুরা গ্রামের হারেসের পুত্র রফিক ও একই গ্রামের উজ্জ্বলের পুত্র শিপন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) রাতে হেমনগর ইউনিয়নের শিমলা পাড়া গ্রামের মান্নান তালুকদারের একটি গরু চুরি যাওয়ার অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার (২৩ জুলাই) অভিযানে নামে গোপালপুর উপজেলার হেমনগর তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ। গোপন সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী সকালে নলীন গ্রামের লিটন কসাইয়ের বাড়ির খামার থেকে মান্নান তালুকদারের গরুসহ ৩টি চুরি যাওয়া গরু উদ্ধার করে পুলিশ।
এ সময় লিটন কসাইয়ের ছেলে রাসেল কসাইকে আটক করে পুলিশ। তার দেয়া তথ্যে ভুঞাপুর উপজেলার জোতকুরা গ্রামের হারেসের পুত্র রফিক, একই গ্রামের উজ্জ্বলের পুত্র শিপনকে আটক করে হেমনগর তদন্ত কেন্দ্রে নিয়ে আসে পুলিশ। গরু চোর আটকের খবর ছড়িয়ে পড়লে উৎসুক জনতা গরু চোর দেখতে তদন্ত কেন্দ্রের সামনে এসে ভীড় জমায়। এ সময় হেমনগর পুলিশ ফাঁড়ির সামনে গরু চোরদের ফাঁসির দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেয় গ্রামবাসীরা।
হেমনগর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি গোলাম রোজ তালুকদার বলেন, এরা সংঘবদ্ধভাবে গরু চুরি করে এনে রাতেই জবাই করে সকালে মাংস বিক্রি করে দেয়। বেশি গরু আনলে বাড়ির ভেতরে খামারে রাখে। আভুঙ্গী গ্রামের আনোয়ার হোসেন মুসা জানান, এর আগে তার খামার থেকে ৪টি গরু চুরি হয়েছে। এসব গরু চোরদের কারণে বাড়িতে বা খামারে গরু লালন-পালন করা অনেক কষ্টকর বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
হেমনগর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোহাম্মদ জওয়াব জানান, আমরা সারারাত প্রধান সড়কে প্রতিনিয়ত টহল দেই। এখন আপনাদের সজাগ থাকতে হবে। তাহলে চোরচক্রকে ধরা সম্ভব হবে। আমাদের খবর দিলে দ্রুতই আমরা ব্যবস্থা নিব।
এ বিষয়ে গোপালপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম মুক্তার আশরাফ উদ্দিন বলেন, আটককৃতদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী বাকিদের ধরার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।