
রিপোর্ট: আশিক ।। টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার দক্ষিণ পাথালিয়া গ্রামে অবস্থিত ২০১ গম্বুজ বিশিষ্ট বিশাল মসজিদটি এখন দেশের অন্যতম আকর্ষণীয় ধর্মীয় ও পর্যটন স্থানে পরিণত হয়েছে। বৃত্তমান পরিস্থিতিতে মসজিদটি শুধু ধর্মীয় উপাসনার স্থান নয়, বরং দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে।
বিশাল এই স্থাপনাটি ইসলামী স্থাপত্যের অনন্য নিদর্শন। গম্বুজের সংখ্যা ২০১টি এবং চারপাশে রয়েছে ৯টি সুউচ্চ মিনার, যার মধ্যে প্রধান মিনারটির উচ্চতা প্রায় ৪৫০ ফুট। মসজিদের নির্মাণশৈলী সৌন্দর্য, জাঁকজমকতা ও আধ্যাত্মিক আবহের এক অসাধারণ সংমিশ্রণ।
মসজিদটি নির্মানের উদ্যোক্তা বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম জানান, এটি শুধু একটি মসজিদ নয়, এটি একটি ইসলামী কমপ্লেক্স। এখানে থাকবে এতিমখানা, হাফেজিয়া মাদরাসা, ইসলামী গবেষণা কেন্দ্র ও মেডিকেল সেবা ব্যবস্থা। নির্মাণকাজের অনেকাংশ ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। প্রতিদিন শত শত মানুষ মসজিদ পরিদর্শনে আসছেন। ঈদের সময় বা ছুটির দিনে দর্শনার্থীদের সংখ্যা কয়েক হাজার ছাড়িয়ে যায়।
স্থানীয়দের মতে, এই মসজিদ নির্মাণের ফলে গোপালপুর অঞ্চলে অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথ খুলেছে। আশেপাশে গড়ে উঠেছে ছোট ছোট দোকান, রেস্টুরেন্ট ও গাইড সার্ভিস। স্থানীয় যুবকরা কর্মসংস্থানের সুযোগও পাচ্ছেন।
ঢাকা থেকে আগত পর্যটক শামীমা আক্তার বলেন, আমি বিশ্বাস করতে পারছিলাম না এটা বাংলাদেশে মনে হচ্ছিল যেন তুরস্ক বা আরব আমিরাতে আছি।
(রিপোর্ট: আশিক, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর।)