
স্টাফ রিপোর্টার ॥
সম্প্রতি ভারী ও অতি বৃষ্টিপাতের কারণে টাঙ্গাইলের সখীপুর-ভালুকা সড়কের মিলপাড়া মোড়সহ সড়কটির বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। খানাখন্দের কারনে সড়কে পানি জমে থাকে। ফলে ছোট-বড় যাত্রীবাহী গাড়ীসহ সকল প্রকার যানবাহন চলাচল মারাত্মক হুমকির মধ্যে পড়েছে। এই সড়ক দিয়ে পথচারী এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক চলাচল ব্যাহত হয়ে পড়েছে।
এমন খানাখন্দে ভরা সখীপুর-ভালুকা সড়কটি মেরামতের উদ্যোগ নিয়েছেন টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক। তার হস্তক্ষেপে গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটিতে যানবাহন চলাচলের উপযোগী করতে কাজ শুরু করা হয়েছে।
জানা যায়, এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন সখীপুর সরকারি কলেজ, সখীপুর পিএম পাইলট গভ: স্কুল এন্ড কলেজ এবং সখীপুর পিএম পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থীরা চলাচল করে। এছাড়া ছোট-বড় সকল ধরণের যানবাহন চলাচল করে এই সড়ক দিয়ে। স্বাভাবিক চলাচল ব্যাহত হওয়ার কারনে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এই সড়ক দিয়ে চলাচলকারীদের।
এমন বিষয়টি টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক শরীফা হকের দৃষ্টিগোচর হয়। পরে তিনি তাৎক্ষনিকভাবে টাঙ্গাইল সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরকে অবহিত করেন। সেই সাথে জরুরি ভিত্তিতে মেরামতের মাধ্যমে সড়কটি যানবাহন চলাচলের উপযোগী করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন।
টাঙ্গাইল সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সিনথিয়া আজমিরী খান জানান, সম্প্রতি ভারী ও অতি বৃষ্টিপাতের কারণে ভালুকা-সখীপুর সড়কের মিলপাড়া নামক স্থানে সড়কে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়। জরুরী ভিত্তিতে বিভাগীয় মেরামতের মাধ্যমে সড়কটি যানবাহন চলাচল উপযোগী করার কাজ শুরু হয়েছে। সড়কটির স্থায়ী সংস্কার কাজ সম্পাদনের জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে চলতি অর্থবছরে পিরিয়ডিক মেনটেনেন্স প্রোগ্রাম সড়ক মেজর এর আওতায় আড়াইপাড়া হতে সখীপুর পর্যন্ত প্রস্তাব প্রেরণ করা হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, প্রস্তাব অনুমোদন প্রাপ্তি সাপেক্ষে দরপত্র প্রক্রিয়া শেষে আগামী দুই তিন মাসের মধ্যে সড়কটির স্থায়ী সংস্কার কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব হবে।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক শরীফা হক বলেন, সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সড়কটিকে যান চলাচলের উপযোগী করার নিদের্শনা দেয়া হয়েছে। এছাড়া এই গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি অতি দ্রুতই স্থায়ী সংস্কার কাজ করা হবে।