স্টাফ রিপোর্টার ॥
টাঙ্গাইল শহর বিএনপির গ্রেপ্তারকৃত তিন নেতার নামে দায়েরকৃত মামলা দ্রুত প্রত্যাহার এবং মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন ও সাংবাদিক সম্মেলন করা হয়েছে। সোমবার (৪ আগস্ট) দুপুরে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসুচি পালন করা হয়।
মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন, অভিযুক্ত জুবায়ের হোসেনের ভাই মনিরুজ্জামান, মাছুম আহম্মেদ, হাফেজ মোহাম্মদ আলী, শারমিন আক্তার, লিপি আক্তার প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, মিথ্যা চাঁদাবাজির মামলায় টাঙ্গাইল শহর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের হোসেন, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি গোলাম রাব্বানী এবং ৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম মিয়াকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। এই ডিজিটাল যুগে কেউ চিঠি দিয়ে চাঁদাবাজি করবে- এমনটা পাগলও বিশ্বাস করবে না। তাছাড়া তারা তিনজনই স্থানীয় পর্যায়ে ধনাঢ্য পরিবারের সন্তান। এলাকায় তারা সুনামের সঙ্গে ব্যবসা করছেন। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সময় নানা জুলুম-অত্যাচার এবং মামলা-হামলার শিকার হয়েছেন। অথচ পুলিশ ষড়যন্ত্রমূলকভাবে তাদেরকে চাঁদাবাজির মামলায় ফাঁসিয়েছে। আমরা অবিলম্বে তাদের নামে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহার এবং তাদের নিঃশর্ত মুক্তি চাই। না হলে সন্তোষ এলাকার জনগন দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবে।
পরে এদিন দুপুরে তারা একই দাবিতে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সাংবাদিক সম্মেলনে অনুরূপ বক্তব্য রাখেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, টাঙ্গাইল শহর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের হোসেনের ভাই মনিরুজ্জামান। এ সময় উল্লেখিতরাসহ সন্তোষ এলাকাবাসী ওই কর্মসূচিগুলোতে অংশ নেয়।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, এই মামলাটি কাল্পনিক ও ভুয়া। যা অনেকটা বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের আমলের নাশকতা ও বিস্ফোরক মামলা দেওয়া হতো-অনেকটা এরকমই। আমরা গত দুই দিনে যতটুকু জানতে পারি এই তদন্তকারী কর্মকর্তা কাজী নজরুল ইসলাম অমানুষিক নির্যাতন করে মামলার তিনজন আসামীর নাম বলতে বাধ্য করান। পরে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
পরবর্তীতে তাদের থানা থেকে আদালতে প্রেরণ করা হয়। তাদের খাবার দিতে গেলেও দিতে বাধা দেয়। আমরা ভুক্তভোগী পরিবার এই মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী পুলিশ প্রশাসনের প্রত্যেক সদস্যের বিচার চাই। একই সাথে তাদের মুক্তির দাবি করছি।
উল্লেখ্য, কিলার গ্যাং হত্যাকারী দল নামক একটি সংগঠনের প্যাডে এক মাছ ব্যাবসায়ীকে চিঠি দিয়ে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবির ঘটনায় বিএনপির ওই তিন নেতাসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। শনিবার (২ আগস্ট) ভোর ও শুক্রবার (১ আগস্ট) রাতে টাঙ্গাইল পৌরসভার সন্তোষ এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে জেলা বিএনপি তাদেরকে দল থেকেও বহিষ্কার করে।