
কালিহাতী প্রতিনিধি ॥
জুলাই অভ্যুত্থানের চেতনায় সকল শ্রেণী-পেশা ও ধর্ম-বর্ণের মানুষের শান্তি, সমতা ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় জামায়াতে ইসলামী কাজ করছে এবং করবে। কৃষক-শ্রমিক, কুলি-মজদুর, ব্যবসায়ী-চাকুরিজীবি, মুসলিম-হিন্দু-বৌদ্ধ সকলেই যেন নিরাপদে, সমান সম্মান, অধিকার ও ন্যায় বিচার নিয়ে বাঁচতে পারে এমন একটি কল্যাণকর রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চায় জামায়াতে ইসলামী। মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ১ম বার্ষিকীতে টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর গণ-মিছিল শেষে বাসস্ট্যান্ড চত্ত্বরের সমাবেশে এ কথাগুলো বলেন, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য, টাঙ্গাইল জেলা নায়েবে আমীর কালিহাতী আসনে সংসদ সদস্য প্রার্থী অধ্যাপক খন্দকার আব্দুর রাজ্জাক।
এ সময় তিনি আরও বলেন, কল্যাণকর রাষ্ট্র যেখানে থাকবেনা ঘুষ-দুর্নীতি, চাঁদাবাজি-দখলদারিত্ব, সন্ত্রাস-মাদক, নারীর প্রতি সহিংসতা, বৈষম্য, পরিবেশ বিপর্যয় করে বালু-মাটি উত্তোলন, পরিবেশ দূষণকারী কল-কারখানা। হাজার-হাজার মানুষ খুন-গুম, আয়নাঘরে বন্দি থেকেছেন, মা-বোনেরা নির্যাতন সহ্য করেছেন, জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের হত্যা করা হয়েছে। শিবিরের ভাইদের হত্যা-গুম ও পঙ্গু করা হয়েছে। এতো অত্যাচারের পর জুলাই বিপ্লবে হাজার-হাজার ছাত্র-জনতার জীবনের বিনিময়ে আন্দোলন সফল ও জালিম সরকারের পতন হয়েছে। এরপরও আমাদের যুদ্ধ শেষ হয়নি, আমাদের যুদ্ধ অন্যায়-জুলুম, অত্যাচার-চাঁদাবাজি, ঘুষ-দুর্নীতি, গুম-হত্যার আমাদের সংগ্রাম অবিরাম চলবে।
এ যুদ্ধ কোনও ব্যক্তি বা দলের বিরুদ্ধে নয়, এ সংগ্রাম যাবতীয় অন্যায় ও অপরাধের বিরুদ্ধে, প্রতিটি মানুষকে নিরাপদ ও সুখ-শান্তিতে বসবাস নিশ্চিত করতে। আমরা খুনা-খুনি, মারামারি, হিংসা-বিদ্ধেষ, চুরি-ডাকাতি, রাহাজানি, চাঁদাবাজি বরদাশত করবো না। এ সময় তিনি জনপ্রশাসন ও পুলিশ বাহিনীকে নিরপেক্ষতা বজায়, আইনের মর্যাদা ও মানুষের অধিকার রক্ষা করতে ও ঘুষ-দুর্নীতিতে না জড়ানোর আহ্বান জানান।
এর আগে মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) সকালে সাড়ে ৮ টায় জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ১ম বার্ষিকী উপলক্ষে উপজেলা জামায়াতের গণ-মিছিল কালিহাতী শাজাহান সিরাজ কলেজ গেইট থেকে শুরু হয়ে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ সড়ক প্রদক্ষিণ করে বাসস্ট্যান্ড চত্ত্বরে সমাবেশের মধ্যদিয়ে শেষ হয়। উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা মোহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী এসএম এনামুল হকের সঞ্চালনায় বিভিন্ন ইউনিয়ন ও পৌর জামায়াত, যুব ও শ্রমিক বিভাগের সভাপতি-সেক্রেটারী, ছাত্রশিবির নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ অংশগ্রহণ করেন।