স্পোর্টস রিপোর্টার ॥
দুই পাহাড়ের লড়াইয়ে কেউ জিতেনি। পাহাড়ে পাহাড়ে কখনও যুদ্ধ হতে পারে না। তেমনি টাঙ্গাইল স্টেডিয়ামে ফুটবল খেলায় দুই পাহাড় সমতুল্য দল ব্রক্ষ্মপুত্র ফুটবল দলের আলহাজ ও যমুনা ফুটবল দলের শফির দল গতিময় ফুটবলের প্রর্দশনী দেখিয়েছেন। কিন্তু গোলের খেলা ফুটবলে সেই কাঙ্খিত গোলটিই কেউ করতে পারেনি। দুই দলের ডিফেন্স এতোটাই শক্তিশালী যে তা ভেদ করে দুই দলের স্টাইকাররা গোল করতে না পারায় দ্বিতীয় দিনের খেলাটি গোলশূন্য ড্র হয়েছে।
টাঙ্গাইল ঈদগাঁ মাঠ ফুটবল এসোসিয়েশন আয়োজিত টাঙ্গাইল স্টেডিয়ামে মনিং ফুটবল টুর্নামেন্টে রবিবার (১৭ আগস্ট) সকালের সূর্য উঠার কয়েক ঘন্টা পর থেমে থেমে আলোচনা সমালোচনার পর টুর্নামেন্টের “খ” গ্রপের প্রথম খেলা অনুষ্ঠিত হয়। যদিও তখন আকাশ থেকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির পানি পড়ছিল। সেই গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিকে পাত্তা না দিয়ে যমুনা ও ব্রক্ষ্মপত্র ফুটবল দলের খেলোয়াড়রা গোলের সন্ধানে সারা মাঠ কষে বেড়িয়েছেন। কিন্তু দুইদলই বিপক্ষ দলের ডিফেন্সে গিয়ে খেই হারিয়েছেন। প্রথমার্ধ ও দ্বিতীয়ার্ধে ব্রক্ষ্মপুত্র দলের গোবিন্দ চন্দ্র সরকার, জাহিদ তারেক খান জুয়েল, বজলুর রহমান, ডাক্তার নজরুল ও সজীব এবং যমুনা দলের ইমারত, সোহেল, কবিররা গোল করতে ব্যর্থ হয়েছেন।
যদিও বার কয়েক গোছানো আক্রমন করে ব্রক্ষ্মপুত্র দলের গোবিন্দ, জুয়েল, সজীবরা যমুনা দলের গোলরক্ষক মজিবুরকে টলাতে পারেনি। আর ব্রক্ষ্মপুত্র দলের সুব্রত ধরকে কোন পরীক্ষাই নিতে পারেনি যমুনা দলের স্টাইকাররা। এ অবস্থায় ব্রক্ষ্মপুত্র দলের গোলরক্ষক সুব্রত ধর খেলার ফাঁকে চা পান করলেও করতে পারতো!
দু’দলে যারা খেলেছেন তা হলেন- ব্রক্ষ্মপুত্র ফুটবল দল- ডাক্তার নজরুল ইসলাম, জাহিদ তারেক খান জুয়েল, বজলুর রহমান, গোবিন্দ চন্দ্র সরকার, সুব্রত ধর, মতিউর, মিশু, আলহাজ, সজিব, হালিম, ছানোয়ার, লিটন ও আল মামুন।
যমুনা ফুটবল দল- সোহেল খান, ডাক্তার হাসান আলী, কবির হোসেন, ইমরান, শফি, আরিফুর রহমান, মজিবুর, ইমারত হোসেন, ইমাম হোসেন, নুর এ আলম ভূইঁয়া, শাহেদ রাতুল, ইন্দ্রজিৎ ও তোরাব হোসেন।
রেফারী- হারুন অর রশীদ, সহকারী রেফারী- মমিনুর রহমান ও মমিনুল ইসলাম।
সোমবার (১৮ আগস্ট) খেলায় অংশগ্রহণ করবে- লৌহজং ফুটবল দল বনাম সুরমা ফুটবল দল।