
মধুপুর প্রতিনিধি ॥
টাঙ্গাইলের মধুপুরে প্রশাসনের অভিযানে নিষিদ্ধ জাল ধ্বংস ও বেকারি মশলার মিলে জরিমানা জরিমানা করা হয়েছে। সোমবার (১৮ আগস্ট) বিকেলে উপজেলা প্রশাসন নিষিদ্ধ জাল ও বেকারি এবং মসলার মিলে পৃথক অভিযান পরিচালনা করে। কুড়াগাছা ইউনিয়নের পিরোজপুর এলাকার হাওদা বিলে নিষিদ্ধ চায়না দুয়ারী জাল দিয়ে মাছ ধরার অভিযোগে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জুবায়ের হোসেনের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
মধুপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, হাওদা বিলের ব্রীজ সংলগ্ন অংশ থেকে ২০ টি নিষিদ্ধ চায়না দুয়ারী জাল জব্দ করে হয় পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। এ সময় মৎস্য অফিসের স্টাফ ও মধুপুর থানার একদল পুলিশ অভিযানে উপস্থিত ছিল।
অপর দিকে, উপজেলার আলোকদিয়া ইউনিয়নের লাউফুলায় এক বেকারিতে ও আউশনারা ইউনিয়নের মোটের বাজারে একটি মশলা মিলে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) রিফাত আনজুম পিয়া।
রুটি-বিস্কুটের প্যাকেটে উৎপাদনের তারিখ, মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ, বিক্রয় মূল্য মুদ্রিত না থাকা ও অস্বাস্থ্যকর নোংরা পরিবেশে রুটি তৈরি করার অপরাধে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ অনুসারে মানিক বেকারিকে দশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
মোটের বাজারে একটি মশলা মিলে শুকাতে দেওয়া নিম্নমানের শুকনা মরিচের ওপর দিয়ে হাঁস হাটাচলা ও মরিচে হাঁসের বিষ্ঠা মিশ্রিত দেখার অপরাধে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ অনুসারে মশলা মিলকে পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়। মোবাইল কোর্টটি পরিচালনা করেন উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট রিফাত আনজুম পিয়া। এ সময় মধুপুর সেনা ক্যাম্পের একটি দল এ অভিযানে উপস্থিত ছিলেন।
মধুপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট রিফাত আনজুম পিয়া বলেন, বেকারিতে বিএসটিআইয়ের লাইসেন্স নেই। এছাড়াও অস্বাস্থ্যকর নোংরা পরিবেশে খাদ্য পণ্য তৈরি করা হচ্ছে এবং মশলার মিলে নিম্নমানের ভাঙানো হচ্ছে। মরিচে হাঁসের বিষ্ঠা পাওয়া যায়। এজন্য উভয় প্রতিষ্ঠানকে অর্থদন্ড প্রদান করা হয়েছে। তিনি বলেন, এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এ বিষয়ে মধুপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জুবায়ের হোসেন বলেন, চায়না জাল জলজ জীববৈচিত্র্যরে জন্য হুমকিস্বরূপ। নদী-বিল ও প্রাকৃতিক জলাশয়ের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় উপজেলা প্রশাসনের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।