
কালিহাতী প্রতিনিধি ॥
টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে স্ত্রী ফারহানা ফারিহা কাজলের প্রতারণার শিকার হয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন স্বামী শওকত তালুকদার। বুধবার (২০ আগস্ট) উপজেলার ভবানীপুর নিজ বাড়িতে এ সংবাদ করেন।সংবাদ সম্মেলনে খিলদা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক শওকত তালুকদার, জহিরুল ইসলাম ছাড়াও নাজিম উদ্দিন ও আরেক ভুক্তভোগী মিনা বেগম বক্তব্য রাখেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে শওকত তালুকদার জানান, উপজেলার নারান্দিয়া ইউনিয়নের কাচিনা লখাই গ্রামের আবুল কালাম আজাদের মেয়ে ফারহানা ফারিহা কাজলের সাথে বিগত ২০১৭ সালে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। বিবাহের পর স্ত্রী পড়ালেখা চালিয়ে যেতে থাকে।
পরে ২০২৪ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করার পর স্ত্রী ফারহানা ফারিহা কাজল আমাকে জানায়- সে অস্ট্রেলিয়ার স্কলারশিপ পেয়েছে। সে অস্ট্রেলিয়ায় পড়তে যাবে। আমি তাতে সম্মতি দিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় যেতে সকল খরচ বহন করি এবং নগদ ৪ লক্ষ টাকা সাথে দিয়ে দেই। সে অস্ট্রেলিয়া গেছে এটা আমাকে বিশ্বাস করাতে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ছবি পাঠাতো। ১৩ মাস শুধু হোয়াটসঅ্যাপে কথা বলতো ও এসএমএস এ কথা বলতো। অস্ট্রেলিয়া গিয়ে সে বলে আমাকে সহ এলাকার কিছু লোক নিতে পারবে। আমি স্ত্রীর কথামত অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার জন্য আরো ৬ লক্ষ টাকা দেই এবং আমার এলাকার দুইজনের নিকট থেকে আরো ২০ লক্ষ টাকাসহ মোট ৩০ লক্ষ টাকা দেই।
কিন্তু কিছু দিন পর জানতে পারি আমার স্ত্রী অস্ট্রেলিয়ায় না গিয়ে টাঙ্গাইলে বাসা ভাড়া নিয়ে আত্মগোপনে থাকে। হঠাৎ করে একদিন আমার বাড়িতে এসে আমার ফোন হাতে নিয়ে আমাদের কথা বার্তার সকল এসএমএস ডিলিট করে দেয়। তারপর আমার স্ত্রীর ভাই পুলিশ নিয়ে আমার বাড়িতে আসে আমি নাকি আমার স্ত্রীকে অপহরণ করেছি। পরে থানায় গিয়ে তৎকালীন এসআই মিজানুর রহমানের সামনে আমার স্ত্রী ১৮ লক্ষ টাকা দেয়ার কথা স্বীকার করে আমাকে দুইটা ব্লাঙ্ক চেক দেয় এবং ১০০ টাকা স্ট্যাম্পে টাকা নেয়ার স্বীকারোক্তি দিয়ে স্বাক্ষর করে।
আমাকে টাকা না দিয়ে উল্টো বিভিন্ন মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। আমি এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছি। একটি টাকাও আমার না, সবগুলো টাকা অন্যদের নিকট থেকে সংগ্রহ করা। আমি কি করবো, আমি বাঁচতে চাই। আমি এর সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে এই প্রতারণার বিচার দাবি করছি। যাতে আমার মতো আর কেউ এরকম প্রতারণার স্বীকার না হয়।