জাহিদ হাসান ॥
টাঙ্গাইলে মানবাধিকার ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে টাঙ্গাইলে নাগরিকতা শীর্ষক অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২০ আগস্ট) সদর উপজেলার করটিয়া ইউনিয়নের অডিটোরিয়ামে আয়োজিত হয়। এই সভায় ইউপি সচিব, কর্মকর্তারাসহ এলাকার সাধারণ মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
সভায় বক্তারা বলেন, স্থানীয় পর্যায়ে মানবাধিকার চর্চা বৃদ্ধি, নারী ও যুবকদের অংশগ্রহণ এবং সেবা প্রাপ্তিতে জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ উন্নয়নের অন্যতম শর্ত। বিশেষ করে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়নের জন্য রাষ্ট্র ও নাগরিক সমাজের যৌথ উদ্যোগ প্রয়োজন।
জবাবদিহিতা ও মানবাধিকার সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিতে বাংলাদেশের নারী, পুরুষ ও অন্যান্য প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সক্ষমতা বৃদ্ধি এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে নাগরিকতা প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা মানব প্রগতি সংঘ। মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) কারিগরি সহায়তায় টাঙ্গাইলে এই প্রকল্পের আওতায় দুপুর থেকে বিকেল অব্দি অবহিতকরণ সভা ও উন্মুক্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন মানব প্রগতি সংঘের প্রকল্পা কর্মকর্তা শাহানারা আক্তার। তিনি নাগরিকতা প্রকল্পের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য উপস্থাপন করেন। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইল জেলা মানব প্রগতি সংঘের নির্বাহী পরিচালক মাহমুদা শেলী। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন করটিয়া ইউপি প্রশাসনিক কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম, করটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার আফরোজা আক্তার, করটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার নাছিমা আক্তার প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, রাষ্ট্রীয় সেবা নিশ্চিত করতে হলে নাগরিক সমাজের সক্রিয় অংশগ্রহণ অপরিহার্য। বাল্য বিয়ের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে হবে এবং সেই সাথে ধর্ষণের বিরুদ্ধে সবাইকে সোচ্চার হতে হবে। তিনি এই কর্মসূচীকে সফল করতে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
বিদেশি বিনিয়োগে দেশব্যাপী এই প্রকল্পের জন্য প্রথম অবস্থায় ৬টি জেলাকে নির্ধারণ করা হয়েছে। তার মধ্যে টাঙ্গাইল অন্যতম। শুরুতে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার করটিয়া, গালা, ছিলিমপুর ও কাতুলী এই ৪টি ইউনিয়নে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের সঙ্গে একত্রে কাজ করবে মানব প্রগতি সংঘ। এমনটাই জানিয়েছেন মানব প্রগতি সংঘের নির্বাহী পরিচালক মাহমুদা শেলী।