
আহমেদ সাজু, সখীপুর ॥
টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার তালত্বলা চত্বর থেকে ২ কি:মি পূর্বে সখীপুর সরকারি কলেজ মাঠের পাশে বর্তমান জাতীয় ফুটবল দলের মাঝ মাঠ দাপিয়ে বেড়ানো রুপা আক্তারের বাড়ি। বাবা পেশায় একজন ভ্যান চালক।রুপা আক্তার কাদের নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনার সময় বঙ্গমাতা ফুটবল টুর্নামেন্টের মাধ্যমে সবার নজরে আসে। পরে টাঙ্গাইল জেলা ক্রীড়া সংস্থার এডহক কমিটির সদস্য কামরুন্নাহার তার সংস্পর্শে আসে।তারপর আর রুপা আক্তারের পিছনে তাকাতে হয়নি।
তিন ভাই-বোনের মেঝ রুপা ভর্তি হয়ে যান বিকেএসপিতে। বর্তমানে রুপা দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী। আগামীতে এসএসসি পরীক্ষা দিবে। রুপা এখন বাবা-মা ও পরিবারের সকলের অনুপ্রেরণায় মাত্র ১৭ বছর বয়সে জাতীয় নারী ফুটবল দলের মধ্যমনি হয়ে উঠেছেন।
রহিম মিয়ার বড় মেয়ে রত্নাও ফুটবলার ছিলেন। রুপার মতো ছোট মেয়ে আফরিন ভালো ফুটবল খেলে। রুপা বিগত ২০২২ সালের বিকেএসপির মাধ্যমে যাত্রা শুরু। এর পরের বছর ২০২৩ সালে ভারতে অনুর্ধ-১৭ সুব্রত কাপেও অংশ নেয়। বিগত ২০২৪ সালে ভাল পারর্ফম করায় জাতীয় দলে ডাক পান এবং অনুশীলন শুরু করেন। চলতি ২০২৫ সালের মার্চ মাসে জাতীয় দলের হয়ে সাফ গেমস্ ও এএফসি চ্যাম্পিয়ন ট্রফি অর্জন করে।
রুপার আশা আগামী ২০২৬ সালে নারী বিশ্বকাপ ফুটবলে বিশ্বের বুকে নিজেকে মেলে ধরা। এজন্য কঠোর অনুশীলন চালিয়ে যাচ্ছেন। রুপা তার পরিবার ও ভাইবোন নিয়ে অনেক স্বপ্ন দেখেন। আপাতত তেমন কোন চাওয়া পাওয়া নেই তার। শুরুতেই এলাকার সকলের সহযোগিতা পেয়েছে রুপা। তাই তার স্বপ্ন দেশের হয়ে কিছু করার।
জাতীয় দলের ফুটবলার রুপার বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, একটি মাত্র আধা পাকা টিনের ঘরে পরিবারের সকলের সাথে বসবাস। রুপা এক সপ্তাহের ছুটিতে এসে বাড়ির উঠোনে ফুটবলের অনুশীলন করছেন। পশু-পাখির লালন পালন করে অবসর সময় কাটাচ্ছেন। স্বপ্ন দেখে বিশ্বকাপ ফুটবলে নিজেকে দেশের হয়ে মেলে ধরার।