স্টাফ রিপোর্টার ।। টাঙ্গাইল সদর থানায় দায়েরকৃত হত্যা মামলার আসামি জুথী (২০) নামের এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। শুক্রবার (২২ আগষ্ট) সন্ধায় ঝিনাইদহ জেলার সদর থানাধীন কাষ্ট সাগরা গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। শনিবার (২৩ আগস্ট) সিপিসি-৩, র্যাব-১৪, টাঙ্গাইল ক্যাম্প প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, চলতি বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারী তারিখে ভিকটিম সুবর্ণা আক্তারের সাথে ১নং বিবাদী মোঃ আয়নাল হকের পারিবারিক ভাবে বিবাহ হয়। বিবাহের পর থেকে ১নং বিবাদী স্বামী মোঃ আয়নাল হক ও তার পরিবারের লোকজন মোটরসাইকেল বাবদ ৫ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করে আসছিল। ভিকটিমের পরিবার যৌতুক বাবদ ৫ লক্ষ টাকা না দেওয়ায় ১নং বিবাদী ও তার পরিবারের লোকজন ভিকটমের উপর মানসিক ও শারীরিক ভাবে অত্যাচার করতে থাকে। একপর্যায়ে ভিকটিমের পরিবার অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে এবং ভিকটিমের স্বামী সিঙ্গাপুর যাবে বলে ২ লক্ষ টাকা যৌতুক দিতে বাধ্য হয়। পরবর্তীতে ভিকটমের শশুড় বাড়ির লোকজন বাকী ৩ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবী করে আর ও অত্যাচারের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এরই প্রেক্ষিতে গত ৮ মে বিকাল ৫টা হতে রাত ১০টার মধ্যে বিবাদীগন যৌতুকের বাকী ৩ লক্ষ টাকা না পেয়ে ভিকটিম সুবর্ণা আক্তার কে নিষ্ঠুরভাবে মারপিট করে খুন করে বসত ঘরের ধর্ণার সাথে গলায় শাড়ীর আচল পেচিয়ে ঝুলয়ে রাখে। উক্ত ঘটনায় ২৬ মে তারিখে ভিকটিমের দাদী রুনা বেগম (৫৬) বাদী হয়ে টাঙ্গাইল জেলার সদর থানায় যৌতুকের জন্য হত্যা মামলা দায়ের করে। যার মামলা নং-৩৭।
উক্ত মামলা দায়েরর পর সিপিসি-৩, র্যাব-১৪, টাঙ্গাইল ক্যাম্প ছায়াতদন্ত শুরু করে এবং জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে কার্যক্রম গ্রহণ করে।
এরই ধারাবাহিকতায়, সিপিসি-৩, র্যাব-১৪, টাঙ্গাইল ও সিপিসি-২, র্যাব-৬, ঝিনাইদহ ক্যাম্পের একটি যৌথ আভিযানিক দল শুক্রবার (২২ আগষ্ট) সন্ধ্যায় ঝিনাইদহ জেলার সদর থানার কাষ্ট সাগরা গ্রাম থেকে উক্ত হত্যা মামলার ৭নং এজাহারনামীয় আসামী জুথী (২০) কে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য টাঙ্গাইল সদর থানার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।