
নুর আলম, গোপালপুর ॥
টাঙ্গাইলের গোপালপুর থানার এসআই রাসেলের দেয়া থাপ্পড়ে আলমনগর ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সচিব আমিনুল ইসলাম গুরুতর আহত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। থাপ্পড়ের কারণে আমিনুল ইসলামের কানে শুনতে না পাওয়ায় কথা বললে, গোপালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে গোপালপুর থানার একটি কক্ষে এ ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, নবগ্রাম উত্তর চরপাড়ার মৃত মান্নানের দুই ছেলে, মিঠু আকন্দ ও মিজু আকন্দের জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তি করতে সোমবার (২৫ আগস্ট) সালিসী বৈঠকে বসে স্থানীয়রা। সালিসে মিঠু আকন্দ অনুপস্থিত থেকে মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) পুলিশ নিয়ে হাজির হন। এ সময় ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা পুলিশের সাথে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে।
এ ঘটনায় থানা থেকে ফোন করে যুবদলের সদস্য সচিব আমিনুল ইসলামকে থানায় যেতে বলা হয়। পরবর্তীতে উপজেলা বিএনপির সেক্রেটারি কাজী লিয়াকত ভিপির উপস্থিতিতে থানার অফিসার ইনচার্জের রুমে বৈঠক বসে। সেখানে উত্তেজনার সৃষ্টি হলে যুবদল নেতা আমিনুল ও এসআই রাসেলকে রুম থেকে বেরিয়ে যেতে বলা হয়।
এ বিষয়ে যুবদল নেতা আমিনুল ইসলামের অভিযোগ করে বলেন, রুম থেকে বেরিয়ে আসার পর আরেকটি রুমে নিয়ে এসআই রাসেল তাকে সজোরে থাপ্পড় দেন। এতে তিনি আহত হয়েছেন এবং কানে শুনতে পাচ্ছেন না।
এ ব্যাপারে গোপালপুর উপজেলা বিএনপির সেক্রেটারি কাজী লিয়াকত ভিপি বলেন, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ওপেল চৌধুরীসহ আলমনগর ইউনিয়ন বিএনপির নেতৃবৃন্দকে নিয়ে থানায় বৈঠক চলাকালে এমন ঘটনা ঘটে। বিষয়টি মীমাংসা করতে রাতে আবার বৈঠক হবে।
গোপালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. খাইরুল আলম জানান, এ ঘটনায় তেমন কোনো ইনজুরি চিকিৎসকরা পাননি। তবে যেহেতু তিনি কানে না শোনার কথা বলছিলেন, তাই পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল মেডিকেলে রেফার্ড করা হয়েছে।
এমন অভিযোগের বিষয়ে গোপালপুর থানার সাব ইন্সপেক্টর রাসেল বলেন, ৯৯৯ কল পেয়ে সেখানে গিয়েছিলাম। থানায় কোনো মারধরের ঘটনা ঘটেনি।
এ বিষয়ে গোপালপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম মুক্তার আশরাফ উদ্দিন বলেন, আলমনগরের বিএনপি নেতা পুলিশের কাজে বাধা দিয়েছিলেন, এজন্য থানায় ডেকে আনা হয়েছিল। পরে আমার অফিসারের সাথে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। আমার অফিসার ও নেতাদের ডেকে এনে বিষয়টি মীমাংসা করে দিয়েছি।