
স্টাফ রিপোর্টার ॥
টাঙ্গাইল-১ (মধুপুর-ধনবাড়ী) আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) আসাদুল ইসলাম ওরফে কর্ণেল আজাদকে দল থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহিন ও সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ ইকবাল স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
কর্ণেল আজাদকে দেয়া বহিষ্কারের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) আসাদুল ইসলামের বিরুদ্ধে ‘ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের ডামি নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের পক্ষে প্রচারণায় অংশ নেওয়া’, ‘আয়নাঘরের মাস্টারমাইন্ড ও হাজারো গুম-খুনের নায়ক বরখাস্ত মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানের ব্যবসায়িক অংশীদার হওয়া’ এবং ‘দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের’ অভিযোগ আনা হয়েছে।
এ বিষয়ে আসাদুল ইসলামের সঙ্গে সাংবাদিকরা মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তাকে পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মধুপুর উপজেলার মির্জাবাড়ী ইউনিয়নের ফাজিলপুর গ্রামের বাসিন্দা আসাদুল ইসলাম সেনাবাহিনী থেকে স্বেচ্ছায় অবসর নিয়ে ব্যবসায় যুক্ত হন। গত বছরের (৫ আগস্টের) পর এলাকায় এসে তিনি রাজনৈতিক তৎপরতা শুরু করেন। নিয়মিত সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশ নেন এবং তাঁর অনুসারীও তৈরি হন। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাঁর বিরুদ্ধে প্রচারণা শুরু হয়। সেখানে তাঁকে মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান ও তাঁর স্ত্রীর ব্যবসায়িক অংশীদার হিসেবে অভিযোগ করা হয়।

এ বিষয়ে টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ ইকবাল সাংবাদিকদের বলেন, আসাদুল ইসলামের বিরুদ্ধে বেশ কিছুদিন যাবৎ বিভিন্ন অভিযোগ আসছিল। বিগত সরকারের ডামি নির্বাচনে ঢাকায় তিনি একজন প্রার্থীর পক্ষে প্রচারে অংশ নেন। পাশাপাশি আয়নাঘরের মাস্টারমাইন্ড জিয়াউল আহসানের সঙ্গে ব্যবসায় জড়িত থাকার প্রমাণও পাওয়া গেছে। দফায় দফায় তদন্ত শেষে অভিযোগের সত্যতা মেলায় দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে পরামর্শ করে তাঁকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বহিষ্কারের এ চিঠির অনুলিপি ধনবাড়ী ও মধুপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি, সম্পাদক এবং মির্জাবাড়ি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি, সম্পাদক বরাবর দেয়া হয়েছে।






