
স্টাফ রিপোর্টার ॥
টাঙ্গাইলের মধুপুর ও ধনবাড়ী দুই উপজেলায় প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যে দিয়ে শেষ হয়েছে হিন্দু ধর্মালম্বীদের প্রধান উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। প্রতিমা বিসর্জন উপলক্ষে মধুপুর ও ধনবাড়ী দুই উপজেলার প্রতিমা বিসর্জনের স্থানগুলোতে হাজারো মানুষের ঢল নেমেছিল। বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) বিকেলে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার শেষ দিন বিজয়া দশমীতে মধুপুর ও ধনবাড়ী দুই উপজেলায় প্রতিমা বিসজনের স্থানগুলোতে অনুষ্ঠানের আয়োজন করে উপজেলা পূজা উদযাপন ফ্রন্ট।
মধুপুর উপজেলার পূজা উদযাপন ফ্রন্টের নেতারা জানান, শুধুমাত্র মধুপুরের বংশাই নদীতেই নয় বিভিন্ন বড় বড় দীঘি এবং পুকুরে উপজেলার পৌরসভা এলাকা ও বিভিন্ন ইউনিয়নের মোট ৫৮টি প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়।
এছাড়া একই সময়ে পাশের ধনবাড়ী উপজেলার ঝিনাই ও বংশাই নদীতে ও বড় বড় পুকুরে মোট ৩৫টি প্রতিমা পৃথক পৃথক স্থানে প্রতিমা বিসর্জন দেয়া হয়।
শেরপুর জেলা থেকে ধনবাড়ী পৌর শহরের ভদ্র বাড়ী পূজা মন্দিরে পূজা দেখতে আসা দর্শনার্থী তরি ঘোষ ও তিথি ঘোষ জানান, আমরা প্রতি বছরই ধনবাড়ীর নানা বাড়ীতে এই ধর্মীয় উৎসব উদযাপন করে থাকি, এবারেও এসেছি । এবারের পূজায় গতবারের চেয়ে আনন্দ বেশী করেছি। আমরা দেবী দুর্গা মায়ের কাছে আর্শীবাদ করেছি- যেন আমরা হিন্দু বাঙ্গালিসহ সকল ধর্মের লোকজন ভালো থাকতে পারি। সেই সাথে মা যেন সকলের সহায় হোন। এটাই মায়ের কাছে প্রত্যাশা করেছি।
ধনবাড়ী পৌর শহরের চালাষ ভদ্রবাড়ী সর্বজনীন পূজা মন্ডপের নেতা বিপুল রায় ও তপু ভদ্র জানান, শাস্ত্রীয় মতে ২০২৫ সালে মা দুর্গা হাতির পিঠে চড়ে মর্ত্যে এসেছেন এবং দোলায় চড়ে কেলাসে গমন করেন। দেবীর আগমন হাতির পিঠে হলে তা অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। যা বসুন্ধরাকে শস্য-শ্যামলা ও সমৃদ্ধ করে তোলে। এ বছর পুলিশ, আনসার ও সকলের সহযোগীতায় খুবই সুন্দর ও শান্তিপূর্ণভাবে শারদীয় দুর্গা পূজা উৎসব সমাপ্তি করেছি।
ধনবাড়ী উপজেলা পূজা উদযাপন ফ্রন্টের সদস্য সচিব উৎপল বসাক বলেন, এ বছর ধনবাড়ী উপজেলায় ৩৫টি পূজা মন্ডপে শারদীয় দুর্গা পূজা উৎসব পালিত হয়েছে। ধনবাড়ী উপজেলা প্রশাসন ও থানা প্রশাসনসহ সকলের সার্বিক সহযোগীতায় পূজা অনুষ্ঠান সমাপ্তি হয়েছে। কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
ধনবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস এম শহিদুল্লাহ জানান, কোন ধরণের অপ্রীতির ঘটনা ছাড়াই খুবই ভাবগার্ম্ভীযের মধ্যে দিয়ে পুলিশ ও আনসার বাহিনীর কড়া নিরাপত্তার মদ্যে দিয়ে নিদিষ্ট সময়ে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়েছে।
ধনবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহীন মাহমুদ জানান, প্রতিমা বিসর্জনের সময় নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রশাসন সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে ছিলো। মন্ডপ কমিটির সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হয়েছে। এ বছর ধনবাড়ী উপজেলায় মোট ৩৫টি মন্দিরে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিমা যথাসময়েই বিসর্জন দেওয়া হয়েছে। কোন ধরণের বিশৃংখলা ঘটেনি।






