
স্টাফ রিপোর্টার ॥
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে বালু ঘাটের মালিকের কাছে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে বিএনপির কতিপয় নেতার বিরুদ্ধে। আর এ চাঁদা না দেয়ায় বালু ফেলে চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে তারা। উপজেলার সারপলশিয়া এলাকায় ঘটেছে এমন ঘটনা। এতে করে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে ওই রাস্তা দিয়ে চলাচল করা সাধারণ মানুষ ও শিক্ষার্থীদের।
জানা যায়, গত বছরের (৫ আগস্ট) সরকার পতনের পর ভূঞাপুর উপজেলার আওয়ামী লীগ সমর্থিত নিকরাইল ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মাসুদুল হক মাসুদের বালুর ঘাট দখলের পায়তারা করে আসছিল ইউনিয়ন বিএনপির নেতাকর্মীরা। কিন্তু পুরোপুরি সফল হয়নি। তবে এবার সেই বালু ঘাটকে কেন্দ্র করে ৫০ লাখ টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে উপজেলা বিএনপির কোষাধ্যক্ষ সোলায়মান হোসেন লিটন, নিকরাইল ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি এ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন মন্ডলসহ বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের কতিপয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে মাসুদুল হক মাসুদের স্ত্রী শেফালী মাসুদ সেনাবাহিনী, ইউএনও অফিস, ভূমি অফিস ও থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
এদিকে স্থানীয়দের অভিযোগ, চাঁদার টাকা না পেয়ে ৫ ট্রাক বালু ফেলে চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে বিএনপি নেতা সোলায়মান হোসেন লিটন ও তার সহযোগীরা। এতে করে জনসাধারণের চলাচলে চরম ভোগান্তি সৃষ্টি হয়েছে। শুধু তাই নয়, ওই রাস্তা দিয়ে স্কুলে যাতায়াত করে সারপলশিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। তাদেরও দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ব্যক্তি স্বার্থে জনভোগান্তি সৃষ্টি কোন ভাবেই কাম্য নয়।
অভিযোগের বিষয়ে বিএনপি নেতা সোলায়মান হোসেন লিটন বালু ফেলে রাস্তা অবরোধের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, যে কোন কারনেই আমি একা নই, সবাই মিলে রাস্তায় বালু ফেলা হয়েছে। তবে চাঁদা দাবির বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।
রাস্তা বালু ফেলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির বিষয়ে নিকরাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদুল ইসলাম দিলীপ জানান, বালু সরানোর ব্যবস্থা চলছে।
এ বিষয়ে ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ একে এম রেজাউল করিমের কাছে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, এটা আমার দায়িত্ব না। তবে উপজেলা প্রশাসন চাইলে সহায়তা করবো।
এ ব্যাপারে ভূঞাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহবুব হাসান বলেন, সরজমিনে দেখে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
এদিকে টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট ফরহাদ ইকবাল বলেছেন, তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।