স্টাফ রিপোর্টার, মির্জাপুর ॥
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের তিন হেভিওয়েট নেতা মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেও দুইজন মনোনয়নপত্র জমা দেননি। তারা হলেন- বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক ঢাকা মহসীন হলের সাবেক জিএস সাইদুর রহমান সাঈদ সোহরাব ও কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক দিপু হায়দার খান। গত (১৮ ডিসেম্বর) মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন এই দুই নেতা।
তিনজনের মধ্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির শিশু বিষয়ক সম্পাদক সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী ষষ্ঠবারের মতো দলের চুড়ান্ত মনোনয়ন পাওয়ায় নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী গত সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) মনোনয়ন ফরম দাখিলের শেষ দিনে বাকি দুইজন মনোনয়নপত্র দাখিল করেননি। নেতাকর্মীদের মধ্যে এটি নিয়ে চলছে নানা আলোচনা ও সমালোচনা। তাদের সমর্থকদের অনেকেই বলছেন দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করার অপরাধে যদি তাদের পদ পদবী চলে যায় সেই ভয়ে, আবার কেউ কেউ বলছেন দলের উচ্চ পর্যায় থেকে কোন নির্দেশনা না পাওয়ার তারা তাদের মনোনয়নপত্র দাখিল করেননি।
সাইদুর রহমান সাঈদ সোহরাব টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) আসনে ১৯৯৬ সালে দলীয় মনোনয়ন পেয়ে ধানের শীষের প্রচারণা শুরু করেন। এর কয়েকদিন পর তাকে বাদ দিয়ে আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকীকে দলীয় মনোনয়ন দেয়া হয়। বিগত ১৯৯৬ সালের (১৫ ফেব্রুয়ারির) নির্বাচনসহ আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী বিএনপির ৬ বার মনোনয়ন পেয়েছেন। বিগত ১৯৯৬ সালের (১৫ ফেব্রুয়ারি) ও (১২ জুনের) নির্বাচনে এমপি নির্বাচিত হন তিনি। এ আসনে বিএনপির ব্যাপক জনপ্রিয়তা থাকার পরও তিনি আর বিজয়ী হতে পারেননি।
তবে এ আসনে টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য বাংলাদেশ ইট প্রস্তুত মালিক সমিতির সভাপতি ফিরোজ হায়দার খান স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক ঢাকা মহসীন হলের সাবেক জিএস সাইদুর রহমান সাঈদ সোহরাবের বিশ্বস্ত পৌর বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি খন্দকার মোবারক হোসেন বলেছেন, দলের সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান ও বিশ্বাস রেখে তিনি তার মনোনয়নপত্র দাখিল করেননি।