
স্টাফ রিপোর্টার, মির্জাপুর ॥
পরপর ৩ বছর খাজনা না দিলে সরকারের পক্ষ থেকে রেন্ট সার্টিফিকেট মামলা দায়ের করে সম্পত্তি খাস খতিয়ান করা। ক ও খ তসফিলভূক্ত অর্পিত সম্পত্তি কোন প্রক্রিয়ায় জমা খারিজ করা যায়। ঘরে বসে অনলাইনে নির্ভুলভাবে ই-নামজারি আবেদন করতে হয় কীভাবে। বিএস খতিয়ানে কোনরূপ করণিক ভুল থাকলে মিছ্ বা বিবিধ মামলা দায়েরের মাধ্যমে করণিক ভুল সংশোধন করবেন কীভাবে।
ভূমি সংক্রান্ত এসব আইনের বিষয়ে এভাবে একের পর এক জানা অজানা আইন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের সামনে তুলে ধরে সচেতন করেন মির্জাপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাসুদুর রহমান। প্রায় ঘন্টাব্যাপী শিক্ষার্থীদের তিনি ভূমি আইন সম্পর্কে তাদের অবহিত করেন। পরে আলোচিত আইনের ওপর শিক্ষার্থীদের নিয়ে কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।
৩ দিনব্যাপী শুরু হওয়া ভূমি মেলার সমাপনী দিন সোমবার (২৬ মে) দুপুরে আলোচনা সভা ও কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।
মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এ.বি.এম আরিফুল ইসলাম। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার সালাহ উদ্দিন আরিফ, উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা ইয়াহ ইয়াহ খান মারুফ, ভাতগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজাহারুল ইসলাম, জামুর্কী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ডি এ মতিন, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এস এম মহসীন, মির্জাপুর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফরিদ, সহসভাপতি আলী আজম সিদ্দিকী, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ সিদ্দিকী প্রমুখ।
পরে কুইজ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিক্ষার্থীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অতিথিবৃন্দ। কুইজে অংশগ্রহণ নিয়ে ভূমি সংক্রান্ত আইন বিষয়ে জানতে পেরে শিক্ষার্থীরাও দারুন আনন্দিত। তাঁরা পাঠ্য বইয়ে ভূমি সংক্রান্ত বিষয় অন্তর্ভূক্ত করার দাবি জানান।
উল্লেখ, “নিয়মিত ভূমি উন্নয়ন কর প্রদান করি, নিজের জমি সুরক্ষিত করি’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে গত রোববার (২৫ মে) থেকে ৩ দিনব্যাপি এই ভূমি মেলা শুরু হয়।
মির্জাপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাসুদর রহমান বলেন, আইন না জানা কোন অজুহাত হতে পারে না। আইন না জানার অজুহাত রাষ্ট্র কোন মতেই গ্রহণ করে না। বরং আইন ভঙ্গের দায়ে শাস্তি পেতে হয়। সে কারণে সকলকে আইন জানতে ও মানতে হবে।