
নিউজ রিপোর্ট ॥
ঈদ উদযাপন করতে গণপরিবহন ও ব্যক্তিগত যানবাহনের পাশাপাশি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে খোলা ট্রাক ও পিকআপভ্যানে করে গন্তব্যে যাচ্ছেন মানুষ। এতে তীব্র যানজটের পাশাপাশি প্রচণ্ড রোদের পর মুষলধারে বৃষ্টিতে ভিজে অস্বস্তিতে পড়েছেন ঘরমুখো মানুষ। বৃহস্পতিবার (৫ জুন) দুপুরে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে মুষলধারে বৃষ্টি হয়। এর আগে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত প্রচণ্ড রোদে ও গরমে ঘরমুখো মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে ওঠেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে অনেকেই যানবাহনের জন্য অপেক্ষা করছেন। বাসের চেয়ে প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেল বেশি দেখা গেছে। এদিকে গণপরিবহন সংকট ও অতিরিক্ত ভাড়ার কারণে অনেকে ঝুঁকি নিয়ে খোলা ট্রাক, পিকআপ ভ্যান ও বাসের ছাদে উঠে বাড়ি ফিরছেন।
তীব্র যানজটের পাশাপাশি প্রচন্ড রোদের পর বৃষ্টিতে ভিজে গিয়ে অস্বস্তিতে পড়েছেন মানুষ। কাপড়সহ অনেকের টাকা, মোবাইল ও মালামাল ভিজে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। বিশেষ করে নারী, শিশু ও বয়স্ক মানুষদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বেশি।
রংপুরগামী ৪২ বছর বয়সী আমীর হামজা বলেন, বৃষ্টিতে একেবাবে জবুথবু হয়ে গিয়েছি। আমি একটি কোম্পানিতে কাজ করি, বাড়িতে ঈদ করতে যাচ্ছি। এসে দেখি একটি গাড়িও পাওয়া যাচ্ছে না। তখন দেখি একটি খোলা ট্রাকে মানুষ যাচ্ছে। আমি ট্রাকটিতে উঠে পড়েছি। এখন রোদে ও বৃষ্টিতে ভিজে বাড়িতে যাচ্ছি। অনেক কষ্ট হলেও বাড়িতে ঈদ করতে যাবো, এটাই আমার কাছে অনেক আনন্দের।
এদিকে অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ ও যমুনা সেতু সংযোগ সড়কে রাতে একাধিক গাড়ি বিকল হওয়ায় ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে সারাদিন থেমে থেমে চলে যানবাহন। বর্তমানে মহাসড়কের রাবনা বাইপাস থেকে যমুনা সেতু পূর্বপাড় পর্যন্ত এলাকা জুড়ে যানবাহনের ধীরগতি রয়েছে। আবার কোথাও কোথাও থেমে থেমে চলছে গাড়ি।
এ বিষয়ে এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোহাম্মদ শরীফ বলেন, মহাসড়কে গাড়ির ধীরগতি রয়েছে। তবে কোথাও থেমে নেই। প্রচুর গাড়ির চাপ রয়েছে। এক সাথে একই সময়ে এতো গাড়ি চলাচল করায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
তথ্য ও ছবি- সংগ্রহীত।