
ফরমান শেখ, ভূঞাপুর ॥
তীব্র রোদ আর গরম অপেক্ষা করে শেষ মুহুর্তে পরিবার-পরিজন নিয়ে দিনব্যাপী বাড়ি ফিরেছেন ঘরমুখো লাখ লাখ মানুষ। ফলে ঈদ যাত্রায় ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে কয়েকগুণ যানবাহনের চাপ বেড়ে যায়। এতে করে বিকেল পর্যন্ত মহাসড়কের টাঙ্গাইলের করাতিপাড়া বাইপাস থেকে যমুনা সেতু পূর্ব টোলপ্লাজার প্রায় ২৮ থেকে ৩০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজট সৃষ্টি ছিল।
শুক্রবার (৬ জুন) দুপুরে সরেজমিনে টাঙ্গাইলের যমুনা সেতু পূর্ব টোলপ্লাজা ও গোল চত্বর ঘুরে দেখা গেছে, যমুনা সেতু পারাপারের অপেক্ষায় হাজার হাজার যানবাহন রয়েছে। যানজটের কারণে ও তীব্র গরমে হাঁসফাঁস করেছে যাত্রী ও চালকরা। বিশেষ করে নারী, শিশু ও বয়োজ্যেষ্ঠরা অসহনীয় ভোগান্তি শিকার হয়েছেন।
জানা যায়, যমুনা সেতুর টোল আদায় মাঝে মধ্যে বন্ধ রাখা, মহাসড়কে যানবাহন বিভিন্ন বিকল, এলোমেলো গাড়ি চলাচলের কারণে যানজট ও ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে ঘরমুখো মানুষের। যানজট কম হওয়ায় যদিও গত ঈদে ঈদযাত্রা অনেকটা স্বস্তিদায়ক ছিল। তবে, এসব সমস্যারোধে সার্বক্ষণিক সেনাবাহিনী, পুলিশ ও র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
যমুনা সেতু গোর চত্বর এলাকায় সরেজমিন কথা হয় ইমরান হোসেন, সেলিম ও ইশরাত খাতুনসহ আরও বেশকয়েকজন পোশাককর্মীর সাথে। তারা জানায়, আশুলিয়া থেকে গত বৃহস্পতিবার (৫ জুন) রাত ১০ টায় খোলা ট্রাকে উঠেছেন রংপুরে তারাগঞ্জের উদ্দেশ্যে। কিন্তু সেখান থেকে সেতু পূর্ব গোল চত্বরে আসতে তাদের সময় লেগেছে প্রায় ১৫ ঘণ্টার মতো। তীব্র গরমে শিশুদের নিয়ে চরম ভোগান্তি ও দুর্ভোগে পড়েছেন। এমন ভয়াবহ যানজটে কোনোবার তারা পড়েনি।
নীলফামারীগামী তয়েস এন্টারপ্রাইজের বাস চালক সোহেল রানা জানান, গত মঙ্গলবার (৩ জুন) থেকে মহাসড়কের টাঙ্গাইল অংশে রাবনা বাইপাস থেকে সেতু টোলপ্লাজা পর্যন্ত ব্যাপক দুর্ভোগের শিকার হচ্ছি। এরই ন্যায় আজকেও চরম অবস্থা। এলেঙ্গা থেকে সেতু পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বেশি যানজটে পড়তে হচ্ছে।
এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ মোহাম্মদ শরীফ জানান, গত বৃহস্পতিবার (৫ জুন) থেকে শুক্রবার (৬ জুন) সারাদিন যানবাহনের অনেক চাপ ছিল। তবে, সন্ধ্যার পর থেকে চাপটা কমে আসতে থাকে। দুর্ভোগ ও যানজট নিরসনে কাজ করছি।
অপরদিকে, যমুনা সেতু পূর্ব থানার অফিস ইনচার্জ (ওসি) ফয়েস আহমেদ জানান, গাড়ির চাপ থাকলেও মহাসড়কের এই অংশে ধীরগতিতে যানবাহন চলাচল করছে। আশা করছি আগ রাতেই দ্রুত স্বাভাবিক হয়ে আসবে।