
স্টাফ রিপোর্টার ॥
বাংলাদেশের ইতিহাসে এমন কিছু মানুষ আছেন, যাদের জীবন কেবল নিজেদের জন্য নয়। বরং পুরো সমাজের জন্য উৎসর্গিত। তারা নীরবে মানুষের জন্য কাজ করে যান, আলো ছড়ান চারপাশে। প্রতিটি মানুষের স্বপ্ন থাকে। কিন্তু স্বপ্নের পথে পা বাড়ালেই একের পর এক আসতে থাকে প্রতিবন্ধকতা। যে ব্যক্তি এসব প্রতিবন্ধকতা টপকে এগিয়ে যাবেন তিনিই হবেন সফল। তেমনই একজন হলেন লে. কর্ণেল আসাদুল ইসলাম আজাদ, পিএসসি (অবঃ)। যিনি সেনাবাহিনীতে দেশ রক্ষার দায়িত্ব পালন শেষে অবসরে এসেও থেমে থাকেননি। বরং তিনি হয়ে উঠেছেন অসহায় মানুষের আশার বাতিঘর। তরুণদের অনুপ্রেরণার উৎস এবং মানবসেবার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। ১৯৭১ সালের (১ নভেম্বর) টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার ফাজিলপুর গ্রামে জন্ম নেওয়া এই মানুষটির বেড়ে ওঠা হয়েছিল এক ঐতিহ্যবাহী জাতীয়তাবাদী চেতনায় বিশ্বাসী পরিবারে। যিনি অনেক বাধা ও প্রতিবন্ধকতা টপকে নিজেকে একজন সফল ব্যক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তার পিতা মরহুম গোলাম মোস্তফা ছিলেন জাগো দলের সদস্য এবং গ্রাম সরকারের প্রধান। পরিবারে দেশপ্রেম ও সমাজসেবার দীর্ঘ ইতিহাস ছিল তাদের। কাকা মরহুম আব্দুর রশিদ ছিলেন বীরমুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ও মধুপুর থানা বিএনপির সদস্য। আরেক কাকা মরহুম খোরশেদুল ইসলাম ছিলেন মধুপুর থানা জাশাসের সভাপতি। বড় ভাই আশরাফুল ইসলাম ও অন্যান্য আত্মীয়রাও সক্রিয়ভাবে রাজনীতি ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিলেন।
এমন পরিবারে বেড়ে ওঠায় লে. কর্ণেল আসাদুল ইসলামের মনে ছোটবেলা থেকেই দেশ ও মানুষের জন্য কিছু করার তীব্র ইচ্ছা জন্ম নেয়। সেনাবাহিনীতে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করে দেশপ্রেম ও শৃঙ্খলার যে শিক্ষা তিনি পেয়েছেন। অবসরের পর সেটি তিনি কাজে লাগিয়েছেন মানবকল্যাণে। তার জীবনের লক্ষ্য হয়ে দাঁড়ায় যাদের সাহায্য করার মতো কেউ নেই, তাদের পাশে দাঁড়ানো। বিগত ২০২০ সালে মধুপুরের ফাজিলপুর গ্রামের বাড়িতে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন “আজাদ স্পোটিং ক্লাব”, যার মূলমন্ত্র “সমাজ সেবায় সবার আগে”। এই ক্লাব হয়ে ওঠে তার সমাজসেবামূলক কার্যক্রমের কেন্দ্রবিন্দু। স্থানীয় এলাকার ৭২ জন বেকার যুবককে নিজ খরচে ঢাকায় এনে ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ দেন। প্রশিক্ষণ শেষে সবার ড্রাইভিং লাইসেন্স করিয়ে দিয়ে চাকরির ব্যবস্থা করে দেন। এই উদ্যোগে অনেক পরিবার আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হয়েছেন। অনেক তরুণ নতুন জীবন পেয়েছে। আজকের যুগে প্রযুক্তি জ্ঞানের গুরুত্ব উপলব্ধি করে বিগত ২০২০ সাল থেকে আজাদ স্পোটিং ক্লাবে বিনামূল্যে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ চালু করেন। গ্রামের স্কুল ও কলেজ শিক্ষার্থীরা এখানে এসে কোনো খরচ ছাড়াই প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। মেধাবী কিন্তু আর্থিকভাবে অসচ্ছল ছাত্র-ছাত্রীদের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত পড়াশোনার খরচ বহন করছেন তিনি। তার সহায়তায় অনেক ছাত্র-ছাত্রী উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করছে। নিজেদের স্বপ্ন পূরণের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং সামাজিক মিলনমেলার মাধ্যমে স্থানীয় তরুণদের ইতিবাচক কর্মকাণ্ডে যুক্ত করছেন। তার লক্ষ্য শুধু অর্থ দিয়ে সাহায্য করা নয়, বরং মানুষকে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর সাহস ও মানসিক শক্তি দেওয়া।
গ্রামের সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে শহরের প্রবাসী পর্যন্ত সবাই তার কর্মকাণ্ডের প্রশংসা করে। কারণ, তিনি সাহায্য করার সময় কারো রাজনৈতিক পরিচয়, ধর্ম, বা সামাজিক অবস্থান দেখেন না। তিনি শুধু মানুষের কষ্ট দেখেন এবং সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। তার আচরণে যে বিনয় ও আন্তরিকতা আছে। তা তাকে মানুষের হৃদয়ে স্থায়ী স্থান দিয়েছে। তিনি বিশ্বাস করেন একজন মানুষ যদি আরেকজন মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারে, সেটাই তার জীবনের সবচেয়ে বড় অর্জন। তিনি নিজ উদ্যোগে অসহায় পরিবারের জন্য ঘর তৈরি করে দিয়েছেন। ভাঙা পায়ের রোগীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন। একজন অসহায় রোগীর নষ্ট চোখের চিকিৎসা করিয়েছেন এবং বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা নিজ দায়িত্বে বহন করেছেন। গ্রামে টিউবওয়েল স্থাপন করে মানুষের বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করেছেন। লে. কর্ণেল আসাদুল ইসলাম চান তার সমাজসেবামূলক কাজকে আরও বড় পরিসরে ছড়িয়ে দিতে। তিনি ভবিষ্যতে একটি আধুনিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে চান। যাতে গ্রামীণ তরুণরা আধুনিক শিক্ষা ও পেশাগত দক্ষতা অর্জন করে দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারে।
সেনাবাহিনী থেকে অবসর গ্রহণের পর তিনি বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়ন কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি মধুপুর উপজেলার প্রতিটি এলাকাজুড়ে কৃষি খাত, শিল্প খাত, পানি সরবরাহ, শিক্ষা, মানব সম্পাদ উন্নয়ন, কুঠির শিল্প, হাট বাজারের উন্নয়ন, স্বাস্থ্য খাত, সামাজিক নিরাপত্তা, সামাজিক অবকাঠামো উন্নয়ন, পরিবহন ও যোগাযোগ খাত এবং ক্রীড়া ও সংস্কৃতিক খাতের উন্নয়নে ব্যাপক কাজ করে যাচ্ছেন। এলাকার গরীব দুঃখী মানুষের পাশে থেকে তিনি সব সময় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। সর্বোপরি গরীব মেহনতী মানুষের প্রকৃত জনদরদী হিসেবে তিনি এলাকায় ব্যাপক পরিচিত ও জনপ্রিয়তা লাভ করেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পারিবারিক ঐতিহ্য অনুযায়ী ছোট বেলা থেকেই একজন সহজ-সরল-সৎ মনের অধিকারী ও মেধাবী মানুষ। যার ফলে মধুপুরবাসী তাকে ভালোবাসা দিয়েছেন সম্মান দিয়েছেন। এলাকাবাসীর ভালোবাসায় ও তাদের আবদারে আসন্ন আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-১ (মধুপুর-ধনবাড়ি) আসনে জাতীয়বাদী দল বিএনপি থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী লে. কর্নেল (অব.) আসাদুল ইসলাম ওরফে লে. কর্ণেল আজাদ। তার প্রতিপক্ষ কিছু ব্যক্তি গোষ্ঠী তার এমন জনপ্রিয়তা ও সামাজিক উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে প্রতিহিংসা বশত লে. কর্ণেল আজাদ এর বিরুদ্ধে চালাচ্ছে নানা অপপ্রচার । মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে কর্নেল আজাদ নিজের নির্বাচনী এলাকায় রাজনৈতিক কর্মকান্ড শুরু করার পর থেকে নানা অপপ্রচার শুরু করেন একই দলের প্রতিপক্ষরা। বিএনপি পরিবার হওয়ার কারণে চাকরিতে সকল যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও শুধু আজাদকে পদোন্নতি না দিয়ে বিগত ২০১৬ সালে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়। আজাদ চাকুরী থেকে অবসরে যাওয়ার পর মিরপুর এলাকায় একটি রিয়েল এস্টেট ব্যবসা শুরু করেন।
লে. কর্ণেল আজাদ বিএনপি থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী এবং সম্ভ্যাব্য প্রার্থী হিসেবে কোন কর্মসূচী পালন করলেই প্রতিপক্ষরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাকে কথিত ফ্যাসিবাদের দোসর আখ্যা দিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ায়। গত (৫ আগস্ট) হাসিনা সরকারের পতনের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে আজাদের নেতৃত্বে বিজয় মিছিল করার সময় প্রতিপক্ষ বাধা দেয়। পরিস্থিতি সামাল দিয়ে দলীয় স্বার্থে আজাদের অনুসারীরা শান্ত থকে। এরপরও সন্ত্রাসীরা আজাদের অফিসে হামলা চালায় এবং তার ছবি সম্বলিত ব্যানার ফেস্টুন ছিড়ে ফেলে। বিএনপির একজন দায়িত্বশীল কর্মী হিসেবে তিনি নিয়মিতভাবে দলের বিভিন্ন সমাবেশ, কর্মসূচি ও সাংগঠনিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করছেন। তিনি দলের শৃঙ্খলা মেনে চলা, নেতৃত্বকে সম্মান করা, এবং জনগণের সাথে নিবিড় যোগাযোগ রাখা এই নীতিতে বিশ্বাসী। যার কারনে তার জনপ্রিয়তা সবার তুঙ্গে। স্থানীয় নেতাকর্মী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ সবাই তার ভদ্র ব্যবহার, নেতৃত্বের দক্ষতা ও জনকল্যাণমূলক মনোভাবের প্রশংসা করে।
দীর্ঘ সেনা জীবনে তিনি দেশ রক্ষার দায়িত্ব পালন করেছেন সততা ও শৃঙ্খলার সাথে। অবসরে যাওয়ার পরও থেমে থাকেননি। নিজের অভিজ্ঞতা, শৃঙ্খলা ও নেতৃত্বের গুণাবলী কাজে লাগিয়ে নিজেকে সম্পূর্ণভাবে নিয়োজিত করেছেন মানবসেবায়। লে. কর্ণেল আজাদ শুধু সমাজসেবক নন, তিনি একজন নিবেদিতপ্রাণ রাজনৈতিক নেতা হিসেবে দলীয় কর্মীদের কাছেও বেশ জনপ্রিয়। তার এই জনপ্রিয়তাই তার প্রতিপক্ষদের জন্য দুশ্চিন্তার কারন হয়ে দাঁড়িয়েছেন। প্রতিপক্ষ ভয় পাচ্ছে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যেমন ক্লীন ইমেজের মানুষ তেমনই একজন লে. কর্ণেল আজাদ। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবার তার দল থেকে তারুণ্যদীপ্ত, ক্লীন ইমেজের ব্যক্তিত্ব, দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে জনপ্রিয়তা এসব দেখেই আসন্ন নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন দেয়ার ঘোষনা দেয়ার পরপরই লে. কর্ণেল আজাদ এর প্রতিপক্ষ তার বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার করে আসছে। যেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এর নজরে আসে। কিন্তু তাতেও কোন লাভ হচ্ছে না লে. কর্ণেল আজাদ এর দলীয় দেশপ্রেম, মানবসেবায় নিজেকে নিয়োজিত করে রাখা থেকে। লে. কর্ণেল আজাদ বলেন, রাজনীতি আমার কাছে ক্ষমতার প্রতিযোগিতা নয় এটি মানুষের সেবা করার দায়িত্ব। রাজনীতি হলো জনসেবার মহাবিশ্বাস। বিএনপি এবং আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে আমি বিশ্বাস করি দেশের মানুষ একটি নতুন সূর্যের আলো দেখতে পাবে। বিএনপির শৃঙ্খলা ও ঐক্যের মন্ত্র আমাদের শক্তির মূলস্তম্ভ। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দূরদর্শিতা ও সাহসিকতা দেশের গণতন্ত্রের রক্ষাকবচ। আমরা তাঁর নেতৃত্বে দেশের জন্য আরও ভালো কিছু করতে প্রস্তুত। আমি সর্বদা বিএনপির নীতিমালা ও নিয়ম-কানুন মেনে চলি, কারণ সুশৃঙ্খল দলই শক্তিশালী দল। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান যেভাবে দেশের স্বার্থে নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তা আমাদের জন্য এক অনুপ্রেরণা। আমি বিশ্বাস করি আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে বিএনপি গণতন্ত্রের পথে এক নব জোয়ার এনে দিবে। প্রকৃতপক্ষে লে. কর্ণেল আজাদ মানুষের পাশে দাঁড়ান দল-মত নির্বিশেষে। তিনি কখনো সাহায্যকে দান হিসেবে দেখেন না। বরং মানুষকে স্বাবলম্বী করে তোলাকেই আসল সহায়তা মনে করেন। এজন্যই মধুপুর ও ধনবাড়ির মানুষ তাকে একজন “জননেতা” হিসেবে দেখতে শুরু করেছে।
লে. কর্ণেল (অব.) আসাদুল ইসলাম ওরফে লে. কর্ণেল আজাদ প্রমাণ করেছেন দেশপ্রেম শুধু যুদ্ধক্ষেত্রেই নয়, মানুষের সেবাতেও প্রকাশ পায়। সেনা অফিসার থেকে সমাজসেবক এবং এখন জননেতা হয়ে ওঠা তার জীবনগাথা টাঙ্গাইল-১ আসনের মানুষের কাছে এক নতুন স্বপ্ন ও আশার প্রতীক হয়ে উঠেছে। তাইতো এলাকাবাসী চান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যেন লে. কর্ণেল আজাদের মতো নিঃস্বার্থ, ত্যাগী মানুষকে টাঙ্গাইল-১ থেকে মনোনয়ন দিয়ে জনগনের সেবা করার সুযোগ করে দেন। লে. কর্ণেল আসাদুল ইসলাম (অবঃ) আমাদের জন্য কেবল একজন ব্যক্তি নন তিনি একজন জীবন্ত অনুপ্রেরণা। সেনা জীবনের শৃঙ্খলা, পারিবারিক দেশপ্রেম, এবং অদম্য মানবসেবার তাগিদ তাকে আজকের এই উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছে। তার জীবন আমাদের শিখিয়ে দেয় “দেশপ্রেম শুধু যুদ্ধক্ষেত্রে নয়, মানুষের সেবায়ও প্রকাশ পায়। যতদিন তার মতো মানুষ সমাজে থাকবেন। ততদিন মানবতা ও আশা টিকে থাকবে। আগামীতে এই দলীয় নিবেদিত প্রাণ, জাতীয়তাবাদী দল বিএনপিতে সৎ যোগ্য যোদ্ধার বিরুদ্ধে অপপ্রচারের কারনসহ ব্যাখ্যা করা হবে।