
স্টাফ রিপোর্টার ॥
টাঙ্গাইলের মির্জাপুর প্রথম শ্রেণির পৌরসভা হলেও এখনো কার্যকর ড্রেনেজ ব্যবস্থার অভাবে সামান্য বৃষ্টিতেই সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতা। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা ও মসজিদে নামাজ পড়তে আসা মুসল্লিরা। বর্ষা মৌসুমে এই দুর্ভোগ যেন দৈনন্দিন জীবনের অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মির্জাপুর পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে দেখা যায়, ড্রেনেজ ব্যবস্থার অবস্থা অত্যন্ত নাজুক। বাসাবাড়ি, মসজিদ, সরকারি অফিস এবং বাজার এলাকার রাস্তাগুলোয় সামান্য বৃষ্টিতেই জমে যায় পানি। ফলে দুর্ভোগের সীমা থাকে না।
পৌরসভার বাসিন্দারা জানান, বিগত ২০০০ সালে মির্জাপুর পৌরসভা গঠিত হয়। বিগত ২০১৮ সালে এটি প্রথম শ্রেণির পৌরসভায় উন্নীত হয়। কিন্তু সেবা ও নাগরিক সুবিধা বাড়েনি। বরং পৌরকর বাড়লেও অবকাঠামোগত উন্নয়ন হয়নি বললেই চলে। পৌরসভার এক, দুই, তিন ও ছয় নম্বর ওয়ার্ড মূলত উপজেলা সদর এলাকা। এখানে কুমুদিনী কমপ্লেক্স, উপজেলা পরিষদ, থানা, ইউএনও অফিস, কেন্দ্রীয় মসজিদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব সরকারি প্রতিষ্ঠান অবস্থিত। এ ওয়ার্ডগুলোর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ রোড, কলেজ রোড, কালিবাড়ি রোড, বংশাই রোড, প্রত্যাশা কমিউনিটি সেন্টার রোড, বাওয়ার রোডসহ প্রায় সব রাস্তার ড্রেনেজ ব্যবস্থা অচল। দুই নম্বর ওয়ার্ডের বাইমহাটি জামে মসজিদ এলাকাটি বর্ষাকালে প্রায় পুরো সময় পানির নিচে থাকে। এতে মুসল্লিদের নামাজ পড়তে অসুবিধায় পড়তে হয়। আট নম্বর ওয়ার্ডের সাহাপাড়া, আন্ধরা, ঘোষপাড়া, বণিকপাড়া, সরিষাদাইর ও বাবু বাজার এলাকার বাসিন্দারাও জলাবদ্ধতার কারণে বাড়ির বাইরে বের হতে পারেন না। সামান্য বৃষ্টিতেই তাদের ঘরবাড়ি পানিতে তলিয়ে যায়।
স্থানীয় বাসিন্দা নরেশ সাহা, সমীর বণিকসহ অন্যান্যরা অভিযোগ করে বলেন, বিষয়টি বহুবার পৌরসভাকে অবহিত করা হলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ছয় নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত সরকারি সব অফিসগুলোর অবস্থান। এই এলাকাও জলাবদ্ধতার কবলে পড়ে থাকে। এতে সেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষকে পোহাতে হয় চরম দুর্ভোগ।
মির্জাপুর পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর আলী আজম সিদ্দিকী, আব্দুর রাজ্জাক, তাপস সাহা ও চন্দনা দে বলেন, মির্জাপুর পৌরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডে ড্রেনেজ ও রাস্তাঘাটের দ্রুত উন্নয়ন প্রয়োজন। মাস্টার প্ল্যান করে পরিকল্পিত উন্নয়ন করা না হলে এই ভোগান্তি থামবে না।
এ বিষয়ে মির্জাপুর পৌরসভার প্রশাসক ও এসিল্যান্ড মাসুদুর রহমান বলেন, পৌরসভাকে আধুনিকভাবে সাজানোর জন্য টাঙ্গাইল টেন টাউন প্রকল্পসহ বিভিন্ন উন্নয়ন তহবিল থেকে বরাদ্দ এনে কাজ শুরু হয়েছে। আশা করছি প্রতিটি ওয়ার্ডে সুষম উন্নয়ন হবে এবং পৌরবাসীর ভোগান্তিও কমে আসবে।