মধুপুরে স্বেচ্ছাসেবী ছাত্রসমাজের সবজি বিক্রি ॥ ভোক্তাদের মাঝে সাড়া

কৃষি টাঙ্গাইল মধুপুর

হাবিবুর রহমান, মধুপুর ॥
সারা দেশে যখন সবজির দাম উর্ধ্বমুখী। নাভিশ্বাস নিচ্ছিল ভোক্তারা। লাউ, মূলা, আলু, বেগুনের দাম চড়া ছিল। তখন দেশের বিভিন্ন স্থানে ন্যায্যমূল্যে সবজি বিক্রি শুরু হয়। মধুপুরেও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। সাধারণ নিম্নআয়ের মানুষের কথা চিন্তা স্বেচ্ছাসেবী ছাত্রসমাজ সবজি বিক্রয় কেন্দ্র খুলে বসে। বিক্রয় কেন্দ্রের খবর ধীরে ধীরে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। শহরের আশপাশের ও পথচারিদের প্রয়োজনীয় সবজি কেনা শুরু করে। বিক্রয় কেন্দ্রে নারী-পুরুষ উভয় ধরনের ক্রেতা নিত্য আসা শুরু করেছে।
এ ব্যতিক্রমী সবজি বিক্রয় কেন্দ্র করা হয়েছে টাঙ্গাইলের মধুপুরের পৌর শহরের ব্রীজ এলাকায়। সাড়া ফেলেছে স্বেচ্ছাসেবী ছাত্রসমাজের উদ্যোগে ন্যায্যমূল্যেও সবজি বিক্রয় কেন্দ্র। ব্যতিক্রমী উদ্যোগে ক্রেতার ভীড় বেড়েছে। এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে মধুপুরের আশপাশের সাধারণ মানুষ।
সোমবার (২৭ অক্টোবর) সকালে মধুপুর বংশাই নদীর ব্রিজ পাড়ে এ ন্যায্যমূল্যের বিক্রয় কেন্দ্র উদ্বোধন করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) রিফাত আনজুম পিয়া। এ সময় মধুপুর থানার অফিসার্স ইনচার্জ ইমরানুল কবিরসহ ছাত্রসমাজের নেতৃবৃন্দ ও অন্যান্য প্রতিনিধরা উপস্থিত ছিলেন।
বিক্রয় কেন্দ্রটি চালু হওয়ার পর থেকেই আসতে থাকে সাধারণ ক্রেতারা। বিশেষ কওে নিম্ন ও নিম্নমধ্যবিত্ত আয়ের পরিবারের মানুষ বেশি। সময় বাড়ার সাথে সাথে বেড়েছে বেচাকেনা।
মধুপুর স্বেচ্ছাসেবী ছাত্রসমাজ আহবায়ক আইইউবিএটি শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান শিশির সাংবাদিকদের জানান, ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কারণে কাঁচাবাজারসহ সকল বাজার দরে উঠানামায় অস্থিরতা চলছে। এ দূরাবস্থা থেকে সাধারণ মানুষের মুক্তির লক্ষ্যেই তাদের এ উদ্যোগ। ১২ রকমের টাটকা শাকসবজিসহ নিত্য প্রয়োজনী পন্য ন্যায্যমূলে বিক্রি করছে বলে জানান। তিনি আরো জানান, আলু, পেঁয়াজ, বেগুন, লাউ, কাঁচামরিচ, তেলসহ সবজি পাওয়া যাচ্ছে। ডিম ৪৫ টাকা হালি, পিয়াজ ১১০ টাকা, তেল, লবন, ডালসহ বিভিন্ন পণ্য ন্যায্যমূল্যে শাকসবজি বিক্রি করছে। যা এলাকার বাজার দরের চেয়েও কম। পরীক্ষামূলকভাবে প্রথম দিকে দোকান এক সপ্তাহ চালবে। সবার সহযোগীতা পেলে নিজেরা আলোচনা করে এর সময়কাল ও পরিধি আরও বাড়ানোর চেষ্টা করবে বলেও জানান।
মধুপুর সহকারী কমিশনার (ভূমি) রিফাত আনজুম পিয়া বলেন, ছাত্ররা যদি সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে সবজি কিনতে পারে, তা যদি সাধারণ মানুষের কাছে বিক্রি কওে তাহলে কোন মধ্যস্বত্বভোগী থাকল না। এতে কৃষক ও ভোক্তা উভয় উপকৃত হলো। ছাত্ররা যদি এমন কাজ করে তাহলে সিন্ডিকেটও থাকবে না।

 

 

 

 

 

 

৬০ Views

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *