
স্টাফ রিপোর্টার ॥
পিতা হত্যার বিচার চেয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরে অবশেষে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করলেন চার কন্যা। মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) সকালে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মৃত আব্দুল আজিজের মেয়ে আনিকা।
টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার নারান্দিয়া ইউনিয়নের মাইস্তা নয়াপাড়া গ্রামের আনিকা লিখিত বক্তব্যে জানান, তাদের পিতাকে হত্যার নেপথ্যে কাজ করেছেন তাদের চাচাতো ভাই রুবেল, উজ্জল ও তাদের চাচা কাজিম উদ্দিন। তাদের কারসাজিতে সেচ স্কীম বেদখলের উদ্দেশ্যে এই হত্যার ঘটনাটি ঘটায়। এ ঘটনায় কালিহাতী থানায় মামলা করা হয়েছে।
লিখিত বক্তব্যে আরও বলেন, গত (১২ জানুয়ারী) দিবাগত রাত ১১ টার দিকে মাইস্তা নয়াপাড়া গ্রামে আমাদের সেচ প্রকল্পের পাশে আবাদী জমিতে আমাদের পিতা আব্দুল আজিজকে হত্যার উদ্দেশ্যে মামলার বিবাদীরা বেপরোয়াভাবে মারপিট করে রক্তাক্ত করে। পরে তাকে মুমূর্ষ অবস্থায় ফেলে রেখে যায়। পরদিন সকাল ৮টার দিকে বিবাদীরা মৃত্যু নিশ্চিত হয়েছে কিনা দেখার জন্য এবং পুণরায় হত্যার উদ্দেশ্যে পিতাকে মারতে থাকে।
এ সময়ে আমরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে দেখতে পাই বিবাদী আসাদুল, রাজু, দুলালসহ অজ্ঞাতনামা ৬/৭ জন দৌড়ে পালিয়ে যায়। আমাদের পিতা আব্দুল আজিজকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি উজ্জল, আসাদুল ও রাজুর নাম বলেন। এ সময় বাবাকে দ্রুত কালিহাতী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। পরে সেখান থেকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করে। এরপর সেখানেও চিকিৎসার উন্নতি না হলে ঢাকা মেডিকেলে রেফার্ড করা হয়।
আমাদের চাচাতো ভাই রুবেল চালাকি ও চতুরতার আশ্রয় নিলে তার বন্ধু ও বাহামভুক্ত পুলিশের সহযোগিতায় নিউরোসায়েন্স এর স্টোক ইউনিটে ভর্তি করে। সেখা বাবার মৃত্যু হলে চাচাতো ভাই রুবেল মোটা অংকের অর্থ দিয়ে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট তৈরী করে। আমরা আইন প্রয়োগকারী সংস্থা হতে কোন সক্রিয় ভূমিকা না পেয়ে অসহায় বোধ করছি।
এ অবস্থায় কালিহাতী থানায় মামলা হলে বিবাদী পক্ষের কারসাজিতে থানা কর্তৃপক্ষ আমাদের কোনরূপ সহযোগিতা করে নাই। আমরা আসামীদের বিচার দাবি করছি। সেই সাথে নিজেরা জীবনের নিরাপত্তা হীনতায় আছি।






