স্টাফ রিপোর্টার ॥
টাঙ্গাইলের ঘাটাইলের সাগরদিঘী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাবিবুল্লাহ্কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। টাঙ্গাইল ডিবি পুলিশ তাকে তার নিজ বাড়ি থেকে শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে গ্রেপ্তার করে। ছাত্র জনতার অন্দোলনের সময় মারধরের ঘটনায় মধুপুর থানায় গত (২ অক্টোবর) একটি মামলা হয়। সেই মামলায় মধুপুর থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলে প্রেরণ করে।
পুলিশ জানায়, শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে টাঙ্গাইল ডিবি পুলিশের একটি দল ঘাটাইল থানা পুলিশের সহযোগীতা নিয়ে হাবিবুল্লাহ্র নিজ বাড়ি সাগরদিঘীর হাতিমারা গ্রামে অভিযান চালায়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বরাবরের মতো ফেসবুক লাইভে আসেন তিনি। পরে ডিবি পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে মধুপুর থানায় নিয়ে যায়। ছাত্র জনতার আন্দোলনের সময় মারধরের ঘটনায় মধুপুর থানায় গত (২ অক্টোবর) একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলে প্রেরণ করে মধুপুর থানা পুলিশ।
এদিকে হাবিবুল্লাহ্ গ্রেপ্তার হওয়ায় তার নিজ এলাকা সাগরদিঘীতে শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে আনন্দ মিছিল করেছে এলাকাবাসি। খুশিতে মিষ্টি বিতরণ করা হয়েছে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়। ঘাটাইল কলেজমোড় এলাকায় প্রায় দুই শতাধিক লোকের মাঝে মিষ্টি বিতরণ করেন উপজেলা শ্রমিক দলের আহবায়ক সুফী সিদ্দিকী। গারোবাজার এলাকায়ও মিষ্টি বিতরণ করা হয় বলে জানান রাজিবুল ইসলাম রিয়াজ নামে একজন।
স্থানীয়রা জানায়, চেয়ারম্যান হাবিবুল্লাহ্ শুধু সাগরদিঘীতে নয় পুরো ঘাটাইলে একজন বিতর্কিত ব্যক্তি। বিভিন্ন সময় অসংযত আচরণের জন্য তিনি সমালোচিত হয়েছেন। বন কর্মকর্তাকে অশালিন ভাষায় গালিগালাজ, তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশ করায় সাংবাদিককে হুমকি এবং সরকারি উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থ আত্মসাতের মতো গুরুতর অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এছাড়াও সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে গিয়ে বিভিন্ন সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লাইভ করতে দেখা যায় তাকে।
সাগরদিঘী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাবিবুল্লাহ্ আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। তিনি সাগরদিঘী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ৬নং ওয়ার্ডের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক। গত (৫ আগস্ট) সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর রাতারাতি লেবাস পাল্টিয়ে জামায়াতে ইসলামের একটি কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায় তাকে। তবে উপজেলার জামায়াত ইসলামের আমীর রাসেল মিয়া বলেন, হাবিবুল্লাহ্ তাদের দলের কেউ নন। জামায়াতে ইসলামের সঙ্গে হাবিবুল্লাহ্র কোনো সম্পৃক্তা নেই।
এ বিষয়ে ঘাটাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিবুল ইসলাম বলেন, টাঙ্গাইল ডিবি পুলিশের একটি দল চেয়ারম্যান হাবিবুল্লাহ্কে গ্রেপ্তার করতে ঘাটাইল থানা পুলিশের সহযোগীতা চায়। থানা পুলিশের সহযোগীতায় তাকে গ্রপ্তার করে মধুপুরের একটি মামলায় তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলে প্রেরণ হয়ছে।