স্টাফ রিপোর্টার ॥
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় আদালত থেকে খালাস পাওয়া কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক শিক্ষা উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টু প্রায় ১৭ বছর পর কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন। মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে গাজীপুরে অবস্থিত কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তিনি মুক্তি পান বলে নিশ্চিত করেছেন কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট-২ এর জেল সুপার আল মামুন।
বহুল আলোচিত ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় সম্পূরক অভিযোগপত্রের ভিত্তিতে বিচারিক আদালতের বিচার অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন হাইকোর্ট। বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে ডেথ রেফারেন্স নাকচ করে এবং আসামিদের আপিল মঞ্জুর করে গত (১ ডিসেম্বর) এ রায় দেওয়া হয়। মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) সকালে আব্দুস সালাম পিন্টুর জামিনের কাগজপত্র কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট-২ এ পৌঁছায়। পরে তা যাচাই-বাছাই শেষে অন্য কোনো মামলায় আটকাদেশ না থাকায় তাকে মুক্তি দেওয়া হয়। কারাগারের প্রধান ফটক থেকে তার স্বজনরা তাকে নিয়ে ঢাকায় অবস্থিত জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারতের উদ্দেশ্যে রওনা হন।
টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক আবদুস সালাম পিন্টু ১৯৯১, ১৯৯৬ সালের (১৫ ফেব্রুয়ারি) ও ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। বিগত ২০০১ সালে তিনি শিক্ষা উপমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।
বিগত ২০০৮ সালের জানুয়ারিতে (২১ আগস্ট) গ্রেনেড হামলা মামলায় গ্রেফতার হন তিনি। তখন থেকেই তিনি কারাগারে ছিলেন। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় আব্দুস সালাম পিন্টু ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ছিলেন। বিএনপির মিডিয়া সেল সূত্র জানিয়েছে, কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে সরাসরি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজার জিয়ারত করতে যান সালাম পিন্টু। পরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় অফিসে যাওয়ার কথা রয়েছে তার।
কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট-২ এর জেল সুপার আল মামুন বলেন, তার বিরুদ্ধে নতুন কোনো মামলায় ওয়ারেন্ট না থাকা এবং তার জামিনের কাগজ পাওয়ার পর মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
