স্টাফ রিপোর্টার ॥
টাঙ্গাইল জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। আগামী শনিবার (২৫ জানুয়ারি) নির্বাচন অনুষ্ঠানের দিন তারিখ নির্ধারিত ছিল। আদালতের রিট পিটিশন দায়ের করার কারণে নির্বাচন স্থগিত করা হয়। সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনের রিটপিটিশন দায়ের করায় শ্রম ও কর্মসংস্থান অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) ফাহমিদা আখতারের স্বাক্ষরিত এক আদেশে গঠণতন্ত্রের ত্রুটিপূর্ণ তফসিলে নির্বাচন না করার আহবান জানানো হয়।
টাঙ্গাইল জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতি সূত্রে জানা যায়, আগামী শনিবার (২৫ জানুয়ারি) মালিক সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠানের দিন তারিখ নির্ধারণ করা হয়। ওই নির্বাচনে টাঙ্গাইল জেলার পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এডভোকেট শফিকুল ইসলাম রিপনকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও এডভোকেট আতাউর রহমান আজাদ, এডভোকেট জাফর আহমেদ ও বাবু শ্যামলকে নির্বাচন কমিশনার নিযুক্ত করে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়। এরা কেউই সমিতির সদস্য বা উপদেষ্টা কমিটির সদস্য নন। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সমিতির প্রধান উপদেষ্টাকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অপর দুইজনকে সদস্য করে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিশন গঠন করার বিধান রয়েছে। এছাড়াও জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতি ও জেলা মিনিবাস মালিক সমিতি একত্রিকরণ করে জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতি নামকরণ করা হয়। যা নিয়ম অনুযায়ী শ্রম অধিদপ্তরকে জানানো হয়নি। নির্বাচনের তফসিলে রেজিস্টেশন নম্বর উল্লেখ করা হয়নি।
রিটপিটিশনে আরও বলা হয়, গঠনতন্ত্রের বিধান না মেনেই ওই কমিশন গত (২ জানুয়ারি) একটি নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করে আগামী শনিবার (২৫ জানুয়ারি) নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করেন। এসব অভিযোগ এনে গত (১৫ জানুয়ারি) দুইজন মালিক সমিতির দুই সদস্য শফিকুল ইসলাম শামীম ও জাহিদুল ইসলাম সবুজ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনে রিটপিটিশন দায়ের করেন। ওই রিট পিটিশনের প্রেক্ষিতে বুধবার (২২ জানুয়ারি) শ্রম ও কর্মসংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) ফাহমিদা আখতারের স্বাক্ষরিত সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনের এক রায়ে শ্রম অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী নির্বাচনের কার্যক্রম গ্রহণ না করায় আগামী শনিবার (২৫ জানুয়ারী) সমিতির অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচন থেকে বিরত থাকতে বলা হয়। সেই সাথে শ্রম অধিদপ্তরের আইন কানুন মেনে সমিতির সকল সদস্যের স্বতস্ফুর্ত অংশগ্রহণে গঠনতন্ত্র মোতাবেক নির্বাচন করার আহবান জানানো হয়।
এ বিষয়ে পরিবহন মালিক ও সমিতির সদস্য শফিকুর রহমান শফিক বলেন, নির্বাচনের তফসিলে ত্রুটি থাকার কারণে সমিতির সাধারণ দুইজন সদস্য হাইকোর্টে রিটপিটিশন দাখিল করেন। আদালত নির্বাচন স্থগিত করে দেন। সুষ্ঠু, সুন্দর এবং স্বচ্ছ ভোটার তালিকা প্রস্তুত করে নির্বাচন করার আহবান সকল সাধারণ ভোটারের।
এ বিষয়ে সভাপতি প্রার্থী ইকবাল হোসেন বলেন, নির্বাচনের শেষ মুহুর্তে এসে রিট পিটিশন দায়ের কাম্য ছিল না। গঠনতন্ত্রে কিছু ত্রুটি বিচ্যুতি থাকতেই পারে। সরকার পরিবর্তন ও পরির্বর্তীত পরিস্থিতির কারণে বিভিন্ন জায়গায় পরিবর্তন হচ্ছে। আমরাও পরিবর্তন চাই। সবাইকে সাথে নিয়ে এক সাথে চলতে চাই। শেষ মুহুর্তে এসে নির্বাচন বন্ধ হলে মালিকদের মনোবল ভেঙ্গে যাবে।
এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল জেলার পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ও এই নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার এডভোকেট শফিকুল ইসলাম রিপন জানান, রিট পিটিশনের আদেশ এখনও হাতে পাইনি। আদেশে কি বলা হয়েছে, তা না দেখে এ বিষয়ে আদেই কোন মন্তব্য করা ঠিক হবে না।