
স্টাফ রিপোর্টার ॥
টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি জোয়াহেরুল ইসলাম জোয়াহেরের বাসা ভাঙচুর, লুটপাট, দখল ও ১০ কোটি টাকা চাঁদা দাবির মামলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিচয়ধারী মারইয়াম মুকাদ্দাস মিষ্টিকে গ্রেপ্তার করছে পুলিশ। রবিবার (৯ মার্চ) রাত ১২টার দিকে শহরের পশ্চিম আকুরটাকুর পাড়া (হাউজিং) এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এরআগে মানসিক ভারসাম্যহীনদের নিয়ে সাবেক এমপির বাড়ি দখল করে ওই নারী। পরে যৌথবাহিনীর অভিযানে শনিবার (৮ মার্চ) রাতে বাড়িটি দখলমুক্ত করে। এরপর প্রশাসন তার কাছে মুচলেকা নিয়ে মিষ্টিকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলামের স্ত্রী রওশন আরা খান (৫৮) রবিবার (৯ মার্চ) সকাল ১১টায় টাঙ্গাইল থানায় লিখিতভাবে অভিযোগ করেন। তিনি উল্লেখ করেন, টাঙ্গাইল শহরের ছোট কালীবাড়ি রোডে বাদির ভবনের কলাপসেবুল গেটের ষষ্ঠ তালা ভেঙে গ্রেপ্তারকৃত বিবাদিসহ আরও অজ্ঞাতনামা ৮-৯ জন ৫ লাখ টাকা এবং ১০ ভরি স্বর্ণালংকার (যার মূল্য অনুমান ১২ লাখ টাকা) চুরি করে নিয়ে গেছে। এছাড়াও আসবাবপত্র ভাঙচুর করে আনুমানিক ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি সাধন করে। পূর্বপরিকল্পিতভাবে ১৭ জন মানসিক ভারসাম্যহীন মানুষ নিয়ে তালা ভেঙে ১৭ জন মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিকে রুমে প্রবেশ করায়। এ বিষয়ে বিবাদির কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি রেগে গিয়ে বাদিকে বলেন, এই বাড়িতে বসবাস করতে হলে ১০ কোটি টাকা চাঁদা দিতে হবে। অন্যথায় আগামী সাতদিনের মধ্যে বাড়িটি পুড়িয়ে ফেলা হবে।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানবীর আহম্মেদ জানান, বাড়িঘর ভাঙচুর, লুটপাট, দখল ও চাঁদাদাবীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে টাঙ্গাইল সদর থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়। পরে একটি পুলিশের একটি দল আসামি মারিয়াম মোকাদ্দেস মিষ্টিকে (২৭) রাত ১২টার দিকে শহরের পশ্চিম আকুরটাকুর পাড়া (হাউজিং) এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। এ বিষয়ে অন্যান্য আসামিদের শনাক্তসহ গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।