
সাদ্দাম ইমন ॥
নবম দফায় দুই দিন অবরোধের কর্মসূচির দ্বিতীয় ও শেষ দিনে রাজপথ দখলে রেখেছে আওয়ামী লীগ। সকাল থেকে অবরোধ কর্মসূচির দ্বিতীয় ও শেষ দিনে টাঙ্গাইল জেলা ও উপজেলার আশপাশের সড়কগুলোতে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। সোমবার (৪ ডিসেম্বর) বিএনপির ডাকা নবম দফায় দুই দিন অবরোধ কর্মসূচির দ্বিতীয় ও শেষ দিনে রিকশা, ভ্যান, সিএনজি, লেগুনা ও মোটরসাইকেলের পাশাপাশি চলছে প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস ও ট্রাক। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে যানবাহনের সংখ্যাও। অবরোধ চলাকালে বিএনপি নেতাকর্মীদের কাউকে রাজপথে দেখা যায়নি। অবরোধের সমর্থনে বিএনপি-জামায়াতের কাউকে পিকেটিং করতেও দেখা যায়নি। বিএনপির ডাকা সেই অবরোধে টাঙ্গাইলের রাজপথ দখলে রেখেছে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও সেচ্ছাসেবক লীগ। নাশকতা বা কোনো ধরনের অপ্রীতিকর অবস্থার জন্য পুলিশের নিরাপত্তা জোরদার রয়েছে। সব ধরনের যান চলাচল স্বাভাবিক থাকলেও দুরপাল¬ার যানবাহন চলাচল মহাসড়কে কম দেখা গেছে।
অবরোধের সমর্থনে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীদের কোনো কর্মসূচির দেখা না মিললেও জনগণের জানমাল রক্ষা ও জনজীবনের নিরাপত্তায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা সকাল থেকেই বিভিন্ন এলাকায় অবস্থান নিয়েছেন। শহরের বাসস্ট্যান্ড ঘুরে দেখা গেছে, প্রায় বাস কাউন্টার বন্ধ। কয়েকটি কাউন্টার খোলা থাকলেও যাত্রী সংকট রয়েছে। আতঙ্কে অনেকে বাস ছাড়তে পারছে না। তারপরও সড়ক-মহাসড়কে যান চলাচল করছে। তবে এখনো কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। সার্বিক নিরাপত্তায় পুলিশের পাশাপাশি আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোকে সতর্ক অবস্থান নিতে দেখা গেছে। অবরোধের দ্বিতীয় ও শেষ দিনে দূরপাল¬ার বাস কম চলাচল করছে। তবে ট্রাক ও ব্যক্তিগত যানবাহন চলাচল ছিল স্বাভাবিক। এছাড়া জেলার অভ্যন্তরীণ সকড়কগুলোতে যথারীতি যান চলাচল করতে দেখা গেছে। এছাড়া ঢাকা-টাঙ্গাইল ও বঙ্গবন্ধু সেতু হয়ে ট্রেন চলাচল ছিল স্বাভাবিক। পরিবহন শ্রমিক ও মালিকরা বলছেন, বাস চলাচলের সিদ্ধান্ত রয়েছে। এ কারণে ভোর থেকে কাউন্টার খোলা রাখা হয়েছে। কিছুটা যাত্রী সংকট রয়েছে। বিভিন্ন পরিবহনের কাউন্টারে যাত্রী কম দেখা গেছে। যাত্রী কম থাকার পরও পরিবহন মালিকরা যানবাহন চালিয়ে যাচ্ছে। তবে যাত্রীরা ঝুঁকি এড়াতে সিএনজি, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় করে গন্তব্যে ছুটছেন। শহরের অভ্যন্তরীণ প্রধান সড়কসহ পাড়ামহল¬ার সড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
টাঙ্গাইল জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) শরফুদ্দীন বলেন, মানুষের জীবনযাত্রা ও যানমাল স্বাভাবিক রয়েছে। এরপরও শহর ও মহাসড়কে পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।