
স্টাফ রিপোর্টার ॥
টাঙ্গাইল সদর উপজেলার যমুনার চারাঞ্চলের বালুময় অনাবাদী জমিকে চাষাবাদের আওতায় নিয়ে এসেছে উপজেলা কৃষি অফিস। চারাঞ্চলের চারটি উপজেলায় কয়েকজন কৃষককে দেয়া হয়েছে বিনামুল্যে বাদামের বীজ ও সার। অনাবাদী জমিতে বাদাম ফলাতে পেরে খুশী কৃষকরা। অনেক কৃষক বাদামের জমিতে সাথী ফসল হিসেবে ঔষুধীগুন সম্পন্ন মুল্যবান ফসল তিশি চাষ করেছেন। কৃষি বিভাগের সার্বক্ষনিক নজরদারী ও অনুকুল আবহাওয়ার কারনে বাদাম ও তিশির ফলনও হয়েছে ভালো।
জানা যায়, দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য এক ইঞ্চি জমিও পরিত্যক্ত রাখা যাবে না, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই নির্দেশনা বাসস্তবায়নে টাঙ্গাইল সদর উপজেলা কৃষি বিভাগ কাজ করছে। এরই ধারাবাহিকতায় টাঙ্গাইল সদর উপজেলার চারটি ইউনিয়নের যমুনা ও ধলেশ্বরী নদীর চরাঞ্চলের বালুময় অনাবাদী জমিতে বাদাম চাষ করা উদ্যোগ নিয়েছে। এ কর্মসুচীর আওতায় কৃষকদের দেয়া হয়েছে বিনামুল্যে বীজ ও বিভিন্ন প্রকারের সার। কৃষি বিভাগের দেয়া প্রনোদনা কর্মসুচীর বীজ জমিতে রোপন করেন কৃষকরা। কৃষি বিভাগের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সার্বক্ষনিক পরামর্শ ও কৃষকদের অক্লান্ত পরিশ্রমের কারনে বাদামের ফলনও হয়েছে ভালো। ভোর থেকে বিকেল পর্যন্ত বাদামের জমি পরিচর্চা করতে ব্যাস্ত সময় পার করছেন চরাঞ্চলের কৃষকেরা। বাদাম চাষ সহজ এবং লাভজনক। ফলন ভালো হলে প্রতি বিঘায় ৫ থেকে ৭ মন বাদাম পাওয়া যায়। আর প্রতি মন বাদামের দাম ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা। অনেক কৃষক বাদামের জমিতে সাথী ফসল হিসেবে ঔষুধীগুন সম্পন্ন মুল্যবান ফসল তিশি চাষ করেছেন। বাদামের পাশাপাশি তিশি বিক্রি করেও অনেক টাকা আয় করার আশা করছেন কৃষকরা।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইল সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রোমানা আক্তার বলেন, এ বছর টাঙ্গাইল সদর উপজেলার চারটি চরাঞ্চলে ৫০ হেক্টর জমিতে বাদাম চাষ করা হয়েছে। কৃষকদের বাদাম চাষে সব ধরনের সহযোগিতা করছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবং বাজারে ফসলের ভালো দাম পেলেই লাভবান হবেন কৃষকরা।