স্টাফ রিপোর্টার, মির্জাপুর ॥
টাঙ্গাইল-৭ মির্জাপুর আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর এনায়েত হোসেন মন্টু ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার তাহরীম হোসেন সীমান্তকে নিয়ে নৌকা প্রার্থীর নির্বাচনী সভায় উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়েছে উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক সেতাব মাহমুদ। বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগ ছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। চলছে আলোচনা-সমালোচনার মধ্য দিয়ে প্রতিবাদ। সেতাব মাহমুদ নৌকা প্রতীকের প্রার্থী খান আহমেদ শুভর সমর্থক। তার দেয়া বক্তব্যের ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছাড়া হলে ভাইরাল হয়। এর আগে সেতাব মাহমুদ তার ফেসবুক আইডিতে ‘স্টেপ ডাউন হাসিনা’ লিখে সমালোচিত হন।
জানা যায়, গত শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) গোড়াই ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী খান আহমেদ শুভর নির্বাচনী প্রচারণার জন্য রশিদ দেওহাটা এলাকায় অফিস উদ্বোধন করা হয়। এ সময় সেতাব মাহমুদ তার বক্তব্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর এনায়েত হোসেন মন্টুকে উদ্দেশ্য করে বলেন, সে সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারে না, সে কিভাবে মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন করবে। এ সময় তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার তাহরীম হোসেন সীমান্তকে উদ্দেশ্য করে বলেন, সে তার রাজনীতির প্রথম থেকেই মিথ্যাভাবে চলে আসছে।
এছাড়া তার ব্যারিস্টারি পড়া এখনো শেষ হয়নি, সে ভূয়া ব্যারিস্টারি পরিচয় দিয়ে মির্জাপুরের মানুষের কাছে ছড়িয়েছে। এসময় সেতাব মাহমুদ ব্যারিস্টার তাহরীম হোসেন সীমান্তর ব্যারিস্টারের সঠিক তথ্য দিতে পারলে তিনি রাজনীতি ছেড়ে দেবে বলেও উল্লেখ করেন। সেই বক্তব্যের ভিডিও শনিবার গভীর রাতে তার ফেসবুক টাইমলাইনে পোস্ট করেন। পরে ভিডিওটি সকলের নজরে আসে। বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগ ছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। চলছে আলোচনা-সমালোচনার মধ্য দিয়ে প্রতিবাদ।
এ বিষয়ে ব্যারিস্টার তাহরীম হোসেন সীমান্ত বলেন, ছাত্রলীগের তথাকথিত আহ্বায়কের বক্তব্য মিথ্যা ও কাল্পনিক। আমার ব্যারিস্টারি সার্টিফিকেট নিয়ে চ্যালেঞ্জ করেছে এটি আমার জন্য মানহানিকর। আমি এ বিষয়ে আইনী পদক্ষেপ নিবেন।
কেন্দ্র্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি।
টাঙ্গাইল জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সোহানুর রহমান সোহান বলেন, বক্তব্যটি আমি শুনিনি।
প্রসঙ্গত, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মীর শরীফ মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার তাহরীম হোসেন সীমান্ত, টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সদস্য ইবিএস গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও মধুমতি ব্যাংকের উদ্যোক্তা পরিচালক রাফিউর রহমান ইফসুফজাই সানি ও জেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) খন্দকার আব্দুল হাফিজ, মির্জাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও হংকং শাখা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ লিটন দলীয় মনোনয়ন চান। মনোনয়ন না পেয়ে তারা স্বতন্ত্র প্রার্থী বীর মুক্তিযেদ্ধা মীর এনায়েত হোসেন মন্টুর পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেন।