
স্টাফ রিপোর্টার ॥
তীব্র তাপদাহ থেকে মুক্তি আশায় টাঙ্গাইলে ইসতিসকার নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিরা। নামাজ শেষে বৃষ্টি জন্য বিশেষ মোনাজাত করেন তারা। বহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) সকাল ১০টায় টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে জেলা ইমাম ও মুয়াজ্জিন পরিষদের উদ্যোগে নামাজের আয়োজন করা হয়। নামাজ শেষে সবাই মহান আল্লাহ পাকের কাছে মাফ চেয়ে গরম থেকে মুক্তি, ফসল রক্ষা ও বৃষ্টির জন্য রহমত কামনা করে দোয়া করেন। এতে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, মাদ্রাসাছাত্র ও শিক্ষকসহ সাধারণ মানুষ অংশগ্রহণ করেন। নির্ধারিত সময়ের আগেই মাঠে জড়ো হতে থাকেন স্থানীয় মুসল্লিরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল ১০ টায় কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে বৃষ্টির জন্য খোলা আকাশের নিচে ইসতিসকার নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিরা। কেউ জায়নামাজে আবার কেউ তপ্ত গরম বালুর মধ্যেই নামাজ আদায় করেন। তীব্র গরম উপেক্ষা করে নামাজে অংশ নেন পাঁচ শতাধিক ধর্মপ্রাণ মুসল্লি। মুসল্লি কাদের মিয়া জানান, টানা কয়েকদিন ধরে প্রচণ্ড তাপপ্রবাহে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। প্রখর রোদের কারণে জীবিকা নির্বাহের জন্য বাইরে বের হতে পারছেন না শ্রমজীবী মানুষ। বৃষ্টি না হওয়ায় ফসল নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে। এ কারণে বৃষ্টি চেয়ে আল্লাহর দরবারে দুই রাকাত নামাজ আদায় ও বিশেষ দোয়া করা হয়। খালেক মিয়া (৬০) জানান, দীর্ঘদিন ধরে অনাবৃষ্টির কারণে মানুষ পশুপাখি গাছপালাসহ সবাই খুব কষ্টে আছেন। এজন্য তারা বৃষ্টির আশায় নামাজ আদায় করতে আসছি। সৃষ্টিকর্তা চাইলে সবকিছুই সম্ভব। আমরা মানব জাতি যতই কঠিন হইনা কেন? তিনি মহান, তার মহানুভবতায় আমরা এ সংকট থেকে পরিত্রাণ পাবো ইনশাল্লাহ। নামাজে অংশ নেওয়া হাবিব আলম বলেন, তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে বাঁচতে মহান আল্লাহর কাছে বৃষ্টি প্রার্থনা করে নামাজ আদায় শেষে দোয়া করেছি আমরা।
এতে ইমামতি করেন শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের খতিব, জেলা ইমাম ও মুয়াজ্জিন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মামুন। তিনি বলেন, অনাবৃষ্টির কারণে মানুষ হাহাকার করছে। মহান আল্লাহ কোনও কারণে আমাদের ওপরে নারাজ হয়েছেন। এ কারণে বৃষ্টিবর্ষণ বন্ধ রেখেছেন। আজকে মহান আল্লাহর কাছে বৃষ্টি বর্ষণের জন্য মুসল্লিদের নিয়ে নামাজ আদায় করেছি। নামাজ শেষে অনাবৃষ্টি এবং গরম থেকে মুক্তির জন্য মহান আল্লাহর রহমত কামনা করে মোনাজাত করেছি।