
স্টাফ রিপোর্টার, মির্জাপুর ॥
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বিগত ১৫ বছর বিএনপি আন্দোলন সংগ্রাম করেছে বাংলাদেশের মালিকানা জনগণের হাতে ফিরিয়ে দেয়ার জন্য। আর মালিকানা ফিরে পাওয়ার পথ একটাই। সেটা হলো যত দ্রুত গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ফিরে যাওয়া। গণতন্ত্রের বাহক হলো নির্বাচন, আর কোন পথ তো নাই। সুতরাং যত দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচন হতে হবে। যার মাধ্যমে জনগণ তার মালিকানা ফিরে পাবে। দেশ জনগনের প্রতিনিধিত্বশীল সরকার হবে। যারা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে। এর ব্যতিক্রম হওয়ার কোন সুযোগ নাই।
শনিবার (১২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে দানবীর রণদা প্রসাদ সাহার বাড়ির পূজামণ্ডপ পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির বিষয়ে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী আরও বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের ঘুষ, দুর্নীতি, বাজার সিন্ডিকেটের কারণে দেশের মানুষের জীবনমান দারিদ্রসীমার নীচে গেছে। মানুষ ক্রয় ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে। জীবনযাত্রার মান নেমে গেছে। সেখান থেকে উত্তোরণ করতে হলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। দেশের মানুষের জীবনমানের উন্নয়নের জন্যেই গত ১৫ বছর আমরা আন্দোলন, সংগ্রাম করেছি।
সন্ধ্যায় আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী কুমুদিনী ক্যাম্পাসে এসে পৌঁছালে তাকে স্বাগত জানান কুমুদিনী হাসপাতালের পরিচালক ডা. প্রদীপ কুমার রায়। এ সময় আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বিএনপির চেয়ারপার্সন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেখম খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে দেয়া ফুলের তোড়া কুমুদিনী কর্তৃপক্ষের হাতে পৌঁছে দেন।
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির শিশু বিষয়ক সম্পাদক সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, সহ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক সাইদুর রহমান সাঈদ সোহরাব, টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহীন, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফরহাদ ইকবাল, মির্জাপুর উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকে আব্দুর রউফ, পৌর বিএনপির সভাপতি হযরত আলী মিঞা, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার সালাহ উদ্দিন আরিফ, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এসএম মহসীন প্রমুখ।
পরে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ নেতৃবৃন্দ বজরা চড়ে লৌহজং নদী পার হয়ে মির্জাপুর গ্রামে দানবীর রণদা প্রসাদ সাহার বাড়ির পূজামণ্ডপে আরতী উপভোগ করেন।