
স্টাফ রিপোর্টার ॥
চলতি বছরের বন্যা ও অতি বৃষ্টির কারনে টাঙ্গাইল জেলার সবজি চাষীরা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। সেই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ১২টি উপজেলার কৃষকরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন শীতকালীন সবজি আবাদে। এসব সবজি বাজারে উঠার পরই কমে যাবে সবজির দাম। একই সাথে বাজারে সবজির সংকটও কেটে যাবে। অন্যান্য ফসলের চেয়ে শীতকালীন সবজি আবাদ করে বেশী লাভবান হওয়া যায়। এ কারণে এ অঞ্চলে প্রতিবছরই বাড়ছে শীতকালীন সবজির জমির পরিমান।
জানা যায়, সব ধরনের সবজি উৎপাদনের উর্ব্বর জমি রয়েছে টাঙ্গাইল জেলায়। প্রতিবছরই জেলার পাহাড়ি অঞ্চল, চরাঞ্চল ও সমতল ভুমিতে প্রচুর পরিমানে শীতকালীন সবজির উৎপাদন হয়ে থাকে। চলতি বছর বন্যা ও অতি বৃষ্টির কারনে সবজি আবাদে বিঘ্ন ঘটে। নষ্ট হয়ে যায় বীজ ও চারা। এর বিরুপ প্রভাব পরে বাজারগুলোতে। বাজারে বিভিন্ন প্রকারের সবজির দাম বেড়ে যায়। বর্ষা মৌসুম কেটে যাওয়ায় কৃষকরা তাদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে শুরু করেছেন শীতকালীন সবজি চাষ। চাষকৃত সবজির মধ্যে রয়েছে ফুল কপি, পাতা কপি, মুলা, টমেটো, শিম, লাউ, পালং শাক, লাল শাকসহ হরেক রকমের সবজি। সরেজমিনে দেখা যাচ্ছে, কৃষকদের মধ্যে কেউ জমি তৈরী করছেন, কেউ জমিতে বীজ বা চারা রোপণ করছেন। কেউ আবার জমিতে গজিয়ে ওঠা সবজি গাছের পরিচর্যা করছেন। সব মিলিয়ে কৃষকরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন।
কৃষকরা বলছেন, অল্প কিছুদিনের মধ্যে তাদের উৎপাদিত সবজি বাজারে চলে যাবে। শীতকালীন সবজি বিক্রি করে অধিক লাভবান হওয়ার আশা করছেন। টাঙ্গাইল জেলায় সবধরনের সবজি চাষের জন্য বিখ্যাত। প্রতিবছর জেলায় বিপুল পরিমাণ সবজির চাষ হয়। জেলার চাহিদা মিটিয়ে এসব সবজি রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় যায় বিক্রির জন্য। সবধরনের সবজির দাম ভাল পাওয়ায় এ বছর কৃষকরা বেশী আগ্রহ দেখাচ্ছে শীতকালীন সবজি আবাদে।
টাঙ্গাইল জেলা কৃষি বিভাগ সুত্রে জানা গেছে, এ বছর জেলার ১১ হাজার হেক্টর জমিতে শীতকলীন সবজির আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। কৃষি বিভাগের পক্ষ হতে সবজির ভালো ফলনের জন্য কৃষকদের সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে।
টাঙ্গাইল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের জেলা প্রশিক্ষন কর্মকর্তা দুলাল উদ্দিন জানান, আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে এবারও টাঙ্গাইলে সবজির বাম্পার ফলন হবে। এর ফলে বাজারে সবজির সংকট কেটে যাবে। একই সাথে দামও ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে চলে আসবে। এ ব্যাপারে কৃষকদের সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে।