
স্টাফ রিপোর্টার ॥
টাঙ্গাইলের ভুঞাপুর উপজেলার যমুনা নদীর গোন্দিাসী ঘাটে শনিবার (৫ মার্চ) মহাঅষ্টমীর স্নান অনুষ্ঠিত হয়েছে। পাপ মোচনের আশায় মহাঅষ্টমীর স্নানে লাখো সনাতনী ধর্মাবলম্বী মানুষের ঢল নামে।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব মহাঅষ্টমী উপলক্ষে যমুনা নদীর তীরে শনিবার ভোর থেকেই ভক্ত-পূণ্যার্থীদের ঢল নামে। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী, এ দিনে পবিত্র নদীতে গঙ্গাস্নান করলে পাপ মোচন হয় এবং আত্মার শুদ্ধি ঘটে, এই আস্থাকে ঘিরেই লাখো মানুষ জড়ো হয় যমুনা নদীর বিভিন্ন ঘাটে ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার গোবিন্দাসী খানুরবাড়ি কালি মন্দির এলাকায় পূণ্যতা লাভের আশায় লাখো সনাতনীরা উৎসব মূখর পরিবেশে স্নান করছেন। এসময় তারা তাদের ধর্মের রীতি অনুযায়ী পূজা অর্চনা শেষ করে স্নান করেন । তাদের দাবী এই স্নানের মাধ্যমে পাপ মোচন হয় এবং আত্মার শুদ্ধি ঘটে। টাঙ্গাইলের সব চেয়ে বড় স্নান উৎসব এখানেই অনুষ্ঠিত হয়।
তীর্থ স্নানে ভক্তদের পূজা অর্চনায় অংশ নিতে আশা পুরোহিতগণ জানান, সনাতন ধর্ম মতে, এই দিনে গঙ্গা স্নানের মাধ্যমে তাদের পাপ মোচন হয়। সেই সাথে তারা সৃষ্টিকর্তার কাছে জগতের সকল জীবের মঙ্গল কামনায় প্রার্থনা করে। সেই বিশ্বাস থেকেই ভক্তরা এখানে আসে এবং গঙ্গাস্নান করেন।
স্নান উৎসবে আশা শিক্ষিকা রমা রানী দাস জানান, প্রতিবছরই আমি এখানে গঙ্গা স্নান করতে আসি। এখানে যারা স্নান করবে তারা অনায়াসে পাপ থেকে মুক্তি লাভ করবে। এই দিনে পার্বতী মহাদেবকে অন্যপূর্ণা পূজা দিয়েছিলেন। স্নান শেষে সৃষ্টিকর্তার কাছে দেশের মঙ্গলের জন্য প্রার্থনা করি।
মন্দির কমিটি এই উৎসবকে আরো প্রাণবন্ত করতে এবং পূণ্যার্থীদের ভেজা জামাকাপড় বদলানোর জন্য পুরুষ এবং মহিলাদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা করেন। দুর দুরান্ত থেকে আসা ভক্তদেরসহ সবার জন্য রয়েছে প্রসাদের ব্যবস্থা।
বিশেষ করে টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ, কালিহাতী, ঘাটাইল, মধুপুর, ধনবাড়ি, গোপালপুর ও আশপাশের জেলা- উপজেলা থেকে আগত সনাতন ধর্মাবলম্বীরা পরিবার-পরিজন নিয়ে আসেন এই পুণ্যস্নানে অংশ নিতে। নদীরপাড় জুড়ে চলে শঙ্খধ্বনি, উলুধ্বনি আর পূজার্চনার আয়োজন। এছাড়া এখানে বিভিন্ন পণ্য সমগ্রীর স্টল রয়েছে এবং আগত পূণ্যার্থীরা যাওয়ার সময় কেনাকাটা করছে।
স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়,