
স্টাফ রিপোর্টার ॥
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে আসামি গ্রেপ্তার ও বিচার দাবি করে আয়োজিত মানববন্ধন শেষে গিয়াস উদ্দিন নামক এক ব্যক্তির বাড়িতে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (১৪ এপ্রিল) দিনগত রাত আড়াইটার দিকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর আগে সোমবার (১৪ এপ্রিল) বিকালে উপজেলার বাঁশতৈল ইউনিয়নের সোনালিয়া চকবাজার এলাকায় এই অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- উপজেলার বাঁশতৈল ইউনিয়নে সোনালিয়া এলাকার আকবর আলীর ছেলে নাঈম (২৬), মৃত রক্ষার ছেলে সবুজ (৫০) ও জইরার ছেলে বাবুল (৪০)।
এ ঘটনায় সোমবার (১৪ এপ্রিল) দিনগত রাত দেড়টার সময় মির্জাপুর থানায় ১২ জনের নাম উল্লেখ ও ৭০-৮০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা করেন গিয়াস উদ্দিনের পুত্রবধূ জাকিয়া আক্তার। মামলায় ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগে ৩৬ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি এবং নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার মিলিয়ে ১৮ লাখ টাকার সম্পদ লুট হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
জাকিয়া আক্তার বলেন, একটি মারামারি ঘটনায় আমার শ্বশুর-শাশুড়ি, স্বামীসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। ইতোমধ্যে আমার স্বামী ও উকিল শশুরকে গ্রেপ্তারও করেছে পুলিশ। কিন্তু তারপরও উদ্দেশ্যমূলকভাবে প্রতিপক্ষ
মানববন্ধনের নামে লোকজন জমায়েত করে আমাদের বাড়িতে হামলা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট করে। তাদের দেয়া আগুনে আমাদের দুটি ঘরের সবকিছু পুড়ে গেছে। এছাড়া দুটি ঘরে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। সেখানে বসবাসের মতো পরিবেশ না থাকায় সন্তানদের নিয়ে বাবার বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন বলে জানান তিনি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার (১১ এপ্রিল) এই ঘটনার সূত্রপাত। ওইদিন গিয়াস উদ্দিনের কলা বাগানে তারই চাচা আকবর আলীর ছাগল যাওয়াকে কেন্দ্র করে দু’জনের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে হামলার শিকার হন আকবর আলী (৬৫)। মাথায় গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। সেই ঘটনার সূত্রধরেই পরবর্তীতে মানববন্ধন ও গিয়াস উদ্দিনের বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশারফ হোসেন বলেন, এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের আইনের আওতায় আনার জোর চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।