
নুর আলম, গোপালপুর ॥
বৈশাখের উপস্থিতিতে পাকতে শুরু করেছে বোরো ধান। কৃষকরাও প্রস্তুতি নিচ্ছে, কয়েকদিন পর শুরু হবে ধান কাটা। এই মুহূর্তে সংকট দেখা দিয়েছে গো খাদ্য হিসাবে ব্যবহৃত ধানের খড়।
টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, হাটে আমদানির তুলনায় চাহিদা বেশি থাকায় বেশ চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে খড়। আমন ধান সংগ্রহের সময় খড় প্রতি আটি ৩-৪ টাকা দরে বিক্রি হলেও। বর্তমানে প্রতি আটি খড় ১০-১২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। খড়ের পাশাপাশি দানাদার খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় ‘মরার উপর খাড়া ঘাঁ’ হয়ে উঠেছে খামারীদের। এতে ক্ষুদ্র খামারীদের লাভের চেয়ে ক্ষতি সম্ভাবনা’ই বেশি।
গোপালপুর উপজেলায় সাধারণত কার্তিক-অগ্রহায়ণে আমন এবং বৈশাখ-জৈষ্ঠ্য মাসে বোরো ধান সংগ্রহ করে কৃষকরা। খামারীরা জানায়, আমন ধানের খড় ভালোভাবে সংগ্রহ করা গেলেও। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে বোরো ধানের সময় তা সম্ভব হয় না। বোরো ধান সংগ্রহের সময় শ্রমিক সংকট দেখা দেয়। এজন্য ধান ও খড় সংগ্রহের খরচ বেড়ে যায়। এসব কারণেই শেষ মুহূর্তে খড়ের সংকট দেখা দেয় এবং দাম বেড়ে যায়।
স্থানীয় কৃষক আফজাল হোসেন বলেন, গোপালপুর উপজেলার খড় সংগ্রহের সময়’ই চরাঞ্চলের পাইকাররা এসে খড় কিনে নিয়ে যায়। এ কারনেই মূলত মৌসুমের শেষ মুহুর্তে এসে গো খাদ্য হিসাবে ব্যবহৃত খড়ের সংকট দেখা যায়।