
স্টাফ রিপোর্টার ॥ টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার শোলাকুড়ীতে রোববার (২৭ এপ্রিল) সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বারতীর্থ স্নান ও মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শত বছরের অধিক সময় ধরে প্রতিবছর বৈশাখ মাসের অমাবস্যা তিথিতে এ পুণ্যস্নান অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিবছর টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, জামালপুর, গাজীপুর ও সিরাজগঞ্জ জেলার বিভিন্ন অঞ্চলের পুণ্যার্থীরা এ নির্দিষ্ট সময়ে মনোবাসনা পূর্ণ করার মানসে পূণ্য স্নানে অংশ নেয়। তারা চিনি-কলাসহ বিভিন্ন দ্রবাদি জলে দান পূর্বক স্বীয় দেবতাকে তুষ্ট করার জন্য একাগ্রচিত্তে স্নান করে গ্লানি মুছে ফেলার প্রতিজ্ঞা করে।
এ বছর রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা না থাকায় স্থানীয়রা স্বল্প পরিসরে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
কথিত আছে, নাটোরের জমিদার রাজা জগদীন্দ্র নাথ রায় বাহাদুরের মাতা অসুস্থাবস্থায় বারটি তীর্থ স্থানের গঙ্গা জলে স্নান করার ইচ্ছা পোষণ করেন। তার বিশ্বাস ওই গঙ্গা জলে স্নান করলে তিনি সুস্থ হয়ে উঠবেন। মাতার ইচ্ছা পূরণ করতে জমিদার ১২টি তীর্থ স্থান থেকে গঙ্গা জল সংগ্রহ করে শোলাকুড়ীতে বিশালকার পুকুর খনন পূর্বক সেই পুকুরে তার মাকে স্নান করায়।এতে তার মা আরোগ্য লাভ করেন।
স্নান উৎসবে আসা শেরপুর থেকে শিল্পী রানী দাস, সরিষ-বাড়ী থেকে অনীতা শীল, গোপালপুর থেকে বিমলেষ দেবনাথ ও ঘাটাইল থেকে পুলক দত্ত জানায়, তারা প্রতি বছর এ পূণ্য স্নানে অংশ নেয় তাদের মনোবাসনা পূর্ণ করার লক্ষ্যে এ বছর প্রতি বছরের মতো স্নান উৎসবে অনেক লোক সমাগম হয়েছে।
পূণ্যস্নান আয়োজক কমিটির সভাপতি নিশি কান্ত সাহা জানান, ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী প্রতি বছরের ন্যায় এবারও বেশ জাঁকজমকপূর্ণভাবে স্নানোৎসবের আয়োজন করা হয়েছে।
পূণ্য স্নান আয়োজক কমিটির পক্ষে বিএনপি নেতা ও ফুলবাগচালা ইউপি চেয়ারম্যার ফরিদ আলী জানান, প্রতিবছর এ স্নানোৎসবে প্রায় লক্ষাধিক পুণ্যার্থীর সমাগম ঘটে। এ বছরও টাঙ্গাইল ও পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন জেলা থেকে আসা অনেক লোকের পদচারণায় স্নান উৎসবটি সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।