নুর আলম, গোপালপুর ॥
টাঙ্গাইলের গোপালপুরে খামারীদের রীতিমত আতংকে পরিনত হয়েছে গরু চুরি। বিগত ৬ মাসেই অন্তত ২৭ টি গরু চুরি হবার খবর পাওয়া গেছে, যার আনুমানিক মূল্য হতে পারে ৪০ লাখ টাকার বেশি। ক্ষতিগ্রস্ত খামারিরা থানায় অভিযোগ না করায়, এই চুরি হওয়া গরুর সুনির্দিষ্ট সংখ্যা জানা যায়নি। কোরবানি ঈদের আগে গরু চুরি বেড়ে যাওয়ায়, আতংকে অনেক খামারী গোয়ালঘর-খামার রাত জেগে পাহারা দিচ্ছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, হাদিরা ইউনিয়নের হাউলভাঙ্গা পূর্বপাড়ার রবিবার (১৯ মে) রাতে আবুল কালামের খামার থেকে ১টি ষাঁড় গরু ও ১টি গাভী নিয়ে যায় চোরচক্র। এছাড়াও গত জানুয়ারি মাসে চাতুটিয়া গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জলিলের বড় ১টি ষাড় গরু। ভাদুড়িচর গ্রামের আশরাফ আলীর বড় ১টি ষাড় গরু ও ১টি দুধেল গাভী। আজগড়া দক্ষিণ পাড়ার নুরুল ইসলামের ১টি গাভী চোর নিয়ে গেছে ।
নগদা শিমলা ইউনিয়নের বনমালী গ্রামের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আব্দুল বাছেদ জানান, ৩ মাস আগে বিলডগা গ্রামের মরহুম হোসেন চেয়ারম্যানের ভাতিজা রিমনের খামার থেকে ১টি ফ্রিজিয়ান জাতের দুধেল বড় গাভী (বাছুর রেখে) ও ১টি ষাঁড় গরু। ১০দিন আগে আমার বেয়াই জলিল মিয়ার ১টি গাভী। ৫ মাস আগে বনমালী রাঘুবপাড়ার ফিরোজের ১টি ষাঁড় গরু চোর নিয়ে গেছে।
মির্জাপুর ইউনিয়নের বড়খালী গ্রামের রবিউল ইসলামের খামার থেকে গত সোমবার (২০ মে) ১টি গাভী ও ২টি ষাড় গরু চোর নিয়ে গেছে বলে জানান রবিউলের স্ত্রী হাসিনা খাতুন। এছাড়াও গত ৩১ ডিসেম্বর একই ইউনিয়নের কাগুজী আটা গ্রামের আলাউদ্দীন মিয়ার ১টি গর্ভবতী বড় গাভী চুরির পর মাঠে নিয়ে জবাই করে মাংস নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়।
ঝাওয়াইল ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান তালুকদার বলেন, বিগত ৬ মাসে আমার ইউনিয়ন থেকে মোট ১৩টি গরু চুরি যাবার তথ্য আছে। কোন গরু উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। কোরবানি ঈদের আগে গরু চুরি ঠেকাতে গ্রাম পুলিশদের পাহারায় রাখা হয়েছে।
গোপালপুর থানার ওসি ইমদাদুল ইসলাম তৈয়ব বলেন, অভিযোগ না পাওয়ায় ব্যবস্থা নেয়া যায়নি। ঈদ উপলক্ষে গরু চুরি রোধে প্রতি ইউনিয়নে বিট অফিসারসহ অন্যান্য অফিসারকে সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে।
গোপালপুরে গরু চুরির হিড়িক ॥ আতংকে খামারীরা
২১৫ Views