
স্টাফ রিপোর্টার, মির্জাপুর ॥
মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা সাদেক আহমেদ খান বলেছেন, সারাদেশে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ৬৩৪টি ভবন আছে। যার প্রত্যেকটা ভবনে আয়ের উৎস আছে। কিন্তু এই সম্পদ দীর্ঘ দিন লুটেরাদের হাতে পড়েছিল। তাদের হাত থেকে অবমুক্ত করতে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিল ও উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বীর প্রতিকসহ আমাদের ১০ মাস সময় লেগেছে। বিভিন্ন জেলায় চিঠি দেয়ার পরও অনেক ডিসি এখন পর্যন্ত কমপ্লেক্সের চাবি বুঝিয়ে দেয়নি। যে সমস্ত ডিসিরা ভাল তাঁরা সহজেই চাবি হস্তান্তর করেছেন। আর যারা চিহ্নিত অপরাধী, যারা লুটপাট করে গত ১৭ বছর খেয়েছে, কোন হিসাব দিতে পারে না তাঁরাই সব বুঝিয়ে দিতে বিলম্ব করছে।
শনিবার (১ নভেম্বর) বিকেলে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে আয়োজিত মির্জাপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের পরিচিতি ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
কমপ্লেক্স না বুঝিয়ে দেয়া ইউএনওদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা অনেক খেয়েছেন। আর জিব বড় করবেন না। মুক্তিযোদ্ধাদের সম্পদ বুঝিয়ে দিন। মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা সহায়তার জন্য আগে যেখানে চিকিৎসার জন্য ২ লাখ টাকা দেয়া হতো। এখন সেখানে ৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে (৭ ও ৮ মে) মির্জাপুরে গণহত্যায় নিহতদের গণশহীদ হিসেবে স্বীকৃতি পাবে। এজন্য সংসদ কাজ করছেন বলে তিনি উল্লেখ করেন।
মির্জাপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা তাজ উদ্দিন সিকদারের সভাপতিত্বে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সদস্য সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা সাদেক আহমেদ খান ছাড়াও অন্যদের মধ্যে টাঙ্গাইল জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আহ্বায়ক আব্দুল খালেক মন্ডল, সদস্য সচিব শেখ মো. হাবিবুর রহমান ও মির্জাপুরের সদস্য সচিব মীর ফজলুল হক প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
এতে মির্জাপুর উপজেলা, মির্জাপুর পৌরসভা ও ১৪টি ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নবগঠিত কমিটির সদস্যরা অংশ নেন।






