হাবিবুর রহমান ॥
টাঙ্গাইল জেলা ও উপজেলার সব মার্কেটে শেষ মুহুর্তে ঈদের বেচাকেনা উপচেপড়া ভীড় দেখা যাচ্ছে। শেষ মুহুর্তে আরও জমে উঠছে ঈদবাজার। পছন্দের জিনিসপত্র কিনতে মার্কেট থেকে মার্কেটে ছুটছেন মানুষ। পছন্দের ঈদের কেনাকাটা করতে বিক্রেতাদের সঙ্গে ক্রেতাদের চলছে দরদাম। দরদাম মিলে গেলে অনেকেই কিনে নিচ্ছেন তাদের পছন্দের পণ্য। টাঙ্গাইলের বিভিন্ন বিপনী বিতান ও মার্কেটসহ বিভিন্ন ছোট-বড় মার্কেটে ক্রেতাদের ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। প্রতিবারের মতো এবারও বেশির ভাগ মার্কেট ও বিপণিবিতানে মহিলা ক্রেতাদের উপস্থিতি বেশি থাকলেও অনেকে আবার পরিবার নিয়ে কেনাকাটা করতে আসছেন।
টাঙ্গাইল প্লাজা মার্কেটের স্টাইল প্লাজার মালিক স্বপন সাহা জানান, ক্রেতা আসছে, দেখছে, পছন্দ হলে কিনছে। শেষ মুর্হুতে পুরোপুরি বেচাকেনা জমে উঠেছে। আশা করছেন সামনের একদিনে আরও বিক্রি বাড়বে। ঈদকে সামনে নিয়ে পোশাকসহ বিভিন্ন দ্রব্যসামগ্রীর ক্রেতা এবং বিক্রেতাদের মধ্যে ব্যাপক আনন্দ-উল্লাসের সৃষ্টি হয়েছে। নিত্যদিনই দোকানগুলোতে ক্রেতা বাড়ছে। ক্রেতা মিটু মৃধা জানান, মেয়েদের জন্য ঈদের কেনাকাটা করতে এসেছেন। এবার গতবারের থেকে দাম কিছুটা বেশি। তাই সাধ্যের মধ্যে দেখে-শুনে দরদাম করে কিনতে কষ্ট হচ্ছে।
এদিকে টেইলার্সদের এখন নির্ঘুম রাত কাটছে। ঈদ ঘনিয়ে আসায় টেইলার্সদের দোকানগুলোতে ততোই বেড়েছে ব্যস্ততা। কারিগরদের এখন যেন দম ফেলার ফুরসত নেই। সময় মতো পোশাক সরবরাহ করতে না পারলে ঈদ আনন্দ মলিন হবে ক্রেতাদের। তাই দিন-রাত পোশাক তৈরিতে ব্যস্ত কারিগররা। প্রতিটি পোশাকে একশ’ টাকা সেলাইয়ের মজুরি বেড়েছে। শহরের ফিটিং টেইলার্সের মালিক রেফাউল ইসলাম জানান, তার দোকানে ৫ জন কারিগর কাজ করে। চাঁদ রাত পর্যন্ত তাদের কাছে যে কোন ফিটিংয়ের কাজ করতে আসলে সে কাজ করে দেওয়ার চেষ্টা করবেন।
এছাড়া জেলা শহর ছাড়াও উপজেলার প্রতিটি মার্কেট ও বিপণি বিতানে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় পরিলক্ষিত হচ্ছে। এবার সালোয়ার, কামিজ, থ্রিপিস ছাড়াও লেহেঙ্গা গাড়ারার চাহিদা বেশি বলে জানা গেছে। লেহেঙ্গা ও গাড়ারা প্রতি পিস ১৫শ’ থেকে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া শিশু পোশাকের চাহিদাও বেশি বলে জানা যায়।
সরেজমিনে বেশকিছু মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিবারের মতো এবারো বেশির ভাগ মার্কেট ও বিপণি বিতানে মহিলা ক্রেতাদের উপস্থিতি বেশি। কেনাকাটা করতে আসা একাধিক ক্রেতারা জানান, ঈদ ঘনিয়ে এসেছে। তাই পরিবারসহ নিজেদের পোশাক কেনার জন্য এসেছেন। নিত্যনতুন কাপড়ের ব্যাপক মজুদ থাকলেও দাম একটু বেশি বলে মনে হয়। রেডিমেড কাপড়ের দোকান অনেক। বিভিন্ন অভিজাত কাপড়ের দোকানগুলোতে উপচেপড়া ভিড় পরিলক্ষিত হয়। বিশেষ করে ইফতারের পরে ভিড় ব্যাপক আকার ধারণ করে। পল্লী মেলার পরিচালক জহির সরকার জানান, ক্রেতা আছে বিক্রিও হচ্ছে। তবে বঙ্গ বাজারে অগ্নিকান্ডের কারণে মালামাল ঠিকমত পাচ্ছেন না। এজন্য দাম একটু বেশি। একই মার্কেটের ফ্যাসন হাউজের মালিক সালাম সরকার জানান, তাদের এখানে নিত্যনতুন পোশাকের ব্যাপক মজুদ রয়েছে। বিক্রিও অনেক ভালো। এতে করে করোনাকালীন ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবেন।