স্টাফ রিপোর্টার ॥
বিগত ২০১৮ সালের নির্বাচনের চাইতেও এবারের ২০২৪ সালের নির্বাচন খারাপ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম। মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে সমসাময়িক রাজনীতি নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় মিট দ্য প্রেসে তিনি এসব কথা বলেন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন, সাধারণ মানুষ ভোট প্রয়োগ করতে পারে নাই। যারা কেন্দ্রে না গেছে তাদের ভোট জালিয়াতি করেছে। সাধারণ মানুষ ৫% ভোট দিতে যায় নাই, আর যারা অন্য দল করে তাদের ১% ভোটারও ভোট দিতে যায়নি। টাঙ্গাইল-৮ আসনের বাসাইল-সখীপুরে ২৯ থেকে ৩০ হাজার ভোট চুরি করা হয়েছে। যারা ডিউটিতে ছিল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা তারা চুরি করে তাহলে জাতি তাদের কাছ থেকে কি শিখবে। জাতি খুব অসহায় হয়ে পড়েছে এদের হাতে।
অনিয়মের কথা উল্লেখ করে কাদের সিদ্দিকী বলেন, এক চোরের বিচার আরেক চোরের কাছে দিয়ে কি হবে। আমার জন্য রাষ্ট্রের কোন ক্ষতি হয় এমন কোন কাজ আমি করবো না। তাই তিনি নির্বাচনে অনিয়ম হলেও তা মেনে নিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, সংসদ আছে সংসদ সদস্যের কোন মর্যাদা নাই। রাজনীতি আছে নেতাদের মূল্যায়ন নাই। আমেরিকা এই নির্বাচন মেনে নিলো কি নিলো না সেইটা দেখার বিষয় না। তবে আমার দেশের মানুষ খুশি হলো কিনা এইটা হলো বড় বিষয়। তবে আমি জানি নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি ও মানুষ খুশি না। সরকার কোন স্বস্তিতে নাই। নির্বাচন যদি ৭০% হতো, তাহলে ভালো হতো। কিন্তু কোথাও ২৫% ভোট হয়নি, সরকার স্বস্তিতে থাকার জন্য মানুষের আস্থা কুড়াতে হবে। এই সংসদ চলে না, তবে জোর করে চালাচ্ছে। যেভাবে নির্বাচন করছে এই সরকার এভাবে কেন্দ্রে ভোট দিতে মানুষ যাবে না। মানুষের অনিহা চলে এসেছে ভোট কেন্দ্রে না যাওয়ার। আমি নির্বাচন করেছি অনিয়ম হয়েছে। কিন্তু কথা হলো চোরের বিচার চোরের কাছে দিব নাকি তাই কোথাও অভিযোগ দেইনি।
বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম বলেন, আমি যদি সত্যিকারের হেরে গিয়ে থাকি তাহলে বঙ্গবন্ধু হেরে গিয়েছে। জাতি যদি মনে করে মুক্তিযোদ্ধাকে চায় না, দেশ স্বাধীন চাই না? তাহলে বলবো আমি হেরে গেছি, আর সাথে বঙ্গবন্ধুও হেরে গিয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।